Coochbehar News: গীতালদহে TMC-BJP সংঘর্ষ, আক্রান্তকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল

গীতলদহে খুন হওয়া আরেক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে রাতেই ফোনে কথা বলেন তিনি। তবে রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে...

Coochbehar News:  গীতালদহে TMC-BJP সংঘর্ষ, আক্রান্তকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল
আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই শাসক বিরোধী তরজায় তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। সংঘর্ষ, পাল্টা সংঘর্ষে গত কয়েকদিন ধরে বারেবারে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কোচবিহার জেলা। শীতলকুচি, মাথাভাঙার পর এবার দিনহাটার গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত ভরাম এলাকায় BJP আশ্রিত দুস্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারাত্মক জখম হন বেশকিছু TMC কর্মী সমর্থক। রাজ্যপালের সফরের মাঝেই উত্তপ্ত কোচবিহারের গীতালদহ। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে দেখতে রবিবার সকালেই বেসরকারি হাসপাতালে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

এছাড়াও গীতলদহে খুন হওয়া আরেক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে রাতেই ফোনে কথা বলেন তিনি। তবে রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণে যারা আহত রয়েছেন তারা কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদেরকে দেখতে আজ হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। রবিবার সকাল ১০ টার সময় বেরিয়ে সোজাসুজি সেই বেসরকারি হাসপাতালে যান এবং সেখানে যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের সঙ্গে দেখা করেন ও খোঁজখবর নেন। এরপর তিনি সিতাইয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে রওনা দেন। 

এই বিষয়ে অঞ্চল সভাপতি মাহফুজারের স্ত্রী জানান, তাদের সঙ্গে কোনও রকম কোনও কথায় বলেননি রাজ্যপাল বোস। সরাসরি তিনি এসে তার স্বামীর সঙ্গে এবং আরেকজন আহত যিনি রয়েছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তবে রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই তিনি সরাসরি বেরিয়ে পড়েন। বিজলী খাতুন বলেন, ''আমাদের রাজ্যপাল কে কিছু কথা বলার ছিল কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখায় করলেন না। কারণ আমরা কি নেতা? আমরা তো সাধারণ মানুষের মতো চলব। ২০১৮ সালে ও তাঁর স্বামীর উপরে এভাবে করে হামলা হয়েছিল।'' জানা গিয়েছে, এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে তার স্বামীকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কারণ, বারংবার তার স্বামীর উপরে আক্রমণ হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হয়েছিল এবার ২০২৩ এর নির্বাচনের ৫-৭ দিন আগে আবারও আক্রমণের অভিযোগ। 

অন্যদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। তার আগে আজ রবিবার মাথাভাঙ্গার ঘোকসাডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ করে। এদিন ঘোকসাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় এই রুট মার্চ করা হয়। এদিন রুটমার্চের নেতৃত্বে ছিলেন ঘোকসাডাঙ্গা থানার ওসি অজিত কুমার সা সহ থানার পুলিশ অধিকারীরা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এদিন তারা বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ চালায়। মূলত এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সুস্থভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যেই এই রুটমার্চ।