টেট অনুত্তীর্ণ হয়েও চাকরি! CBI স্ক্যানারে ২০১৪-র শিক্ষকরা

গত দুই দিনে ৪ জেলার একাধিক শিক্ষকের বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। অনুত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কোন পদ্ধতিতে তারা চাকরি পেলেন? তা জানতেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই

টেট অনুত্তীর্ণ হয়েও চাকরি! CBI স্ক্যানারে ২০১৪-র শিক্ষকরা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দিন যত যাচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মত ছাড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির জট। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) স্ক্যানারে টেট অনুত্তীর্ণ শিক্ষকরা। সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এবার টেট অনুত্তীর্ণ শিক্ষকরা। 
রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ অথচ চাকরি করছেন এমন শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। 
এবার সেই সকল শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড শুরু করল সিবিআই।

আরও জানা গিয়েছে, গত দুই দিনে ৪ জেলার একাধিক শিক্ষকের বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। অনুত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কোন পদ্ধতিতে তারা চাকরি পেলেন? তা জানতেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই সূত্রে খবর। জিজ্ঞাসাবাদের চাঞ্চল্যকর তথ্য অনুত্তীর্ণ সত্ত্বেও কেউ কেউ সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। জেলার মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল যোগাযোগ। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে বাকি জেলার শিক্ষকদেরও বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই। 

অন্যদিকে, বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতি আরও বাড়াচ্ছে সিবিআই। শনিবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসে হাজিরা দেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষাসচিব ডি নারিয়ালা। গত বুধবারই জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে প্রাক্তন আমলাকে ডেকে পাঠানোর কথা। সেই মতো শনিবার (২২ জুলাই) বেলা ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই অফিসে হাজিরা দেন প্রাক্তন শিক্ষাসচিব ডি নারিয়ালা। উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিকবার ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন রাজ্যের বর্তমান শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে। আর এবার সিবিআইয়ের প্রশ্নমালার মুখোমুখি হলেন প্রাক্তন শিক্ষাসচিবও।