চপ ভেজে দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, বিক্রি বেড়েছে বুদ্ধদেবের দোকানে

মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে দোকানে চলে আসা কার্যত অবাক করেছে তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই তাই চপ-চায়ের বিক্রিও বেড়েছে মাগুরার বুদ্ধর দোকানে।

চপ ভেজে দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, বিক্রি বেড়েছে বুদ্ধদেবের দোকানে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বিখ্যাত হয়ে গেলেন মাগুরার বুদ্ধদেব! চপের দোকানের মালিকের সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক এখন বিনপুরের মাগুরায়। মঙ্গলবার বেলপাহাড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম আসার পথে মাগুরায় বুদ্ধদেব মোহান্তর চপের দোকানে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতে চপও ভেজেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তারপর থেকেই তাঁর দোকানের চপ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। খুশির হাওয়া বুদ্ধদেবের চোখে মুখে। 

শুক্রবার সকাল ১০'টার মধ্যেই তাঁর দোকানের সব চপ বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বুদ্ধদেব। বাসে বা রাস্তা দিয়ে যারাই যাচ্ছেন তাঁদের আলোচনা একটাই বুদ্ধদেবের বিখ্যাত চপের দোকান। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী  তাঁর সঙ্গেই চপ তৈরি করেন। বাচ্চাদের লজেন্স খাওয়ান। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। আর তার জেরেই গোটা এলাকায় শুধু নয়, আশপাশের এলাকার মানুষও ছুটে আসছেন বুদ্ধদেবের দোকানে।
 
মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে দোকানে চলে আসা কার্যত অবাক করেছে তাঁকে। এদিন সকাল থেকেই তাই চপ-চায়ের বিক্রিও বেড়েছে মাগুরার বুদ্ধর দোকানে। বুদ্ধদেব মোহান্ত বলেন, ''আগে প্রতিদিন ২০০ পিস করে চপ বিক্রি হত। কাল সন্ধ্যা থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। বহু মানুষ এসে আমার সঙ্গে কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী কী বললেন আমাকে তা শুনতে চাইছে।'' যার ফলে এই কথা-বার্তায় খানিকটা লজ্জিত হয়ে পড়েছেন তিনি। 

বুদ্ধদেব জানাচ্ছেন, ‘‘অনেক বড় বড় নেতা, অফিসার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন, কিন্ত এভাবে আমার দোকানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী চলে আসবেন এমনটা ভাবতে পারিনি। এর পরেই উনুনের সামনে গিয়ে ঝাঝরি হাতা নিয়ে চপ ভাজতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। অবাক চোখে তখন সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে ব্যস্ত সবাই। মুখ্যমন্ত্রীকে গরম তেলের সামনে দাঁড়িয়ে চপ ভাজতে দেখে কিছু পরামর্শ দেন বুদ্ধদেব। মুখ্যমন্ত্রীকে তখন বলতে শোনা যায়, ''ওরে আমি জানি, বাড়িতে রান্না করি তো।'' শুধু তাই নয়, চপ ভাজার পর সঙ্গে থাকা সাংবাদিক, নিরাপত্তা রক্ষী, সরকারি আধিকারিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতেও চপ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দোকানের বয়াম থেকে ক্যাডবেরি নিয়ে উপহার দেন স্থানীয় শিশুদের হাতে।