শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত কেস ডাইরির কপি চাইল আদালত, বেঁধে দিল সময়সীমা

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইয়ার সংক্রান্ত মামলার সমস্ত কেস ডাইরির কপি আদালতে জমা করার নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের (Jay Sengupta)। আগামী ৮ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। তারমধ্যে সমস্ত কেস ডায়েরি জমা করতে রাজ্য পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই ২৬টি মামলারই কেস ডায়েরি চাওয়ার পাশাপাশি ওই মামলাগুলিতে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল, তাও বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

অতীতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajashekhar Mantha) এই মামলায় নির্দেশ দিয়েছিলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফয়াইয়ার করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালতের সেই রক্ষা কবচের বিরুদ্ধে রাজ্য সুপ্রিমকোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকেই মামলার নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়। সম্প্রতি পুলিশ আধিকারিককে খলিস্তানি মন্তব্য বিতর্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়েও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় তা করতে পারেনি রাজ্য। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/a-child-dead-by-massive-fire-incident-in-a-market-at-medinipore

২০২২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, দল বদল করার পর তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই ওই এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই (CBI)। সেই মামলায় ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআর-এর উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/The-High-Court-asked-about-the-boards-guidelines-for-transfer-of-teachers

বিচারপতি মান্থা সেই সময়েই নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তও বিচারপতি মান্থার দেওয়া সেই নির্দেশ বহাল রাখার পাশাপাশি ২৬টি এফআইআর-এর কেস ডায়েরি তলব করলেন রাজ্যের কাছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ অগস্ট। বৃহস্পতিবার আদালতের এই নির্দেশের পর মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হাইকোর্ট (High Court)।