বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে CID তদন্তের নির্দেশ

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে CID তদন্তের নির্দেশ
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ২২ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্টার এমনই অভিযোগ তুলেছেন। এই বিষয়ের জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ষড়যন্ত্রে অন্তত ২ কোটি ২০  লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রাক্তন রেজিস্ট্রারের। এই মর্মে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই ইডির কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তারা কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

মামলায় অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসারের যোগসাজসে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক তছরূপ হয়েছে। ঘটনায়  তদন্ত করছে সিআইডি। এদিন মামলার শুনানিতে সিআইডির তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Calcutta-High-Court-take-Special-initiative-against-madrasa-education-commission

এদিকে দু'টি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকে থাকা ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ তছরূপের অভিযোগ উঠেছে মামলায়। ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে আইন অনুযায়ী ইডির দ্বারস্থ হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককেও রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Calcutta-High-Court-says-that-police-can-not-arrested-da-protestor-bhaskar-ghosh-without-pre-permission

পাশাপাশি নির্দেশে বিচারপতি সিনহা জানিয়েছেন, ঘটনায় সিআইডি দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করবে। প্রয়োজনে যে কাউকে জেরা করা যাবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে ইকোনমিক অফিস উইংয়ের সাহায্য নিতে হবে তাদের। সিআইডিকেও তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।