সন্দেশখালির প্রতিবাদে সুকান্তদের ধর্নায় অনুমতি, একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিলো আদালত

সন্দেশখালির ঘটনায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ম কর্মসূচি করার ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। সেনাবাহিনী সেই ধর্নার অনুমতি দিলেও কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি। আরও পড়ুন...

সন্দেশখালির প্রতিবাদে সুকান্তদের ধর্নায় অনুমতি, একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিলো আদালত
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপির গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচির শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০.০০ থেকে সন্ধে ৬.০০ পর্যন্ত সর্বাধিক ১৫০ জনকে নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা যাবে। কোনরকম মাইক, বক্স ও লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। নির্দেশ বিচারপতি কৌশিক চন্দের।

সন্দেশখালির ঘটনায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ম কর্মসূচি করার ডাক  দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। সেনাবাহিনী সেই ধর্নার অনুমতি দিলেও কলকাতা পুলিশ অনুমতি দেয়নি। রাজ্য বিজেপির অভিযোগ ছিল, রাজ্যে এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে তাই ওই অঞ্চলে লাউড স্পিকার বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে তাদের ধর্নার অনুমতি বাতিল করে দেয় কলকাতা পুলিশ। গান্ধি মূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না কর্মসূচি করার অনুমতি চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 
মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী ধবিজেপির ধর্না কর্মসূচির বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, গান্ধি মূর্তির পাদদেশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না চলছে। তাছাড়া বর্তমানে রাজ্যজুড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এবং আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অন্যান্য বোর্ডেরও পরীক্ষা রয়েছে। তাছাড়া উল্লেখিত ওই স্থানটি একটি জাংশন পয়েন্ট। ফলে এই ধর্না কর্মসূচি হলে পরীক্ষার অসুবিধা হতে পারে।

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Calcutta-high-court-reject-the-bail-plea-of-narendrapur-school-head-master

তার উত্তরে মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী বলেন, ওই এলাকায় কোনও স্কুল নেই। তখন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র বলেন লাউড স্পিকার ছাড়া ধর্ণা করাই যেতে পারে।  মামলাকারীর আইনজীবীকে বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কতজনকে নিয়ে এই ধর্ণা কর্মসূচি করতে চাইছেন?  মামলাকারী আইনজীবী জানান, ২০০-৩০০ জনকে নিয়ে তারা ধর্না কর্মসূচি করতে চান। এবং লাউড স্পিকার ছাড়াই। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Head-Master-of-narendrapur-mn-school-allegedly-accused-for-distributing-sabuj-sathi-cycle-for-money

রাজ্যের তরফ থেকে তার বিরোধিতা করা হলে তখন বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, কোনও ধর্না কর্মসূচি শান্তিনিকেতনের স্টাইলে হতে পারে না।
তারপরই বিচারপতি কৌশিক চন্দ শর্তসাপেক্ষে আগামী ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত সর্বাধিক ১৫০ জনকে নিয়ে লাউড স্পিকার ছাড়া গান্ধি মূর্তির পাদদেশে রাজ্য বিজেপিকে সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে ধারনা কর্মসূচি করার অনুমতি দেন।

বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ

1. শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত করতে হবে।

2. ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি দু'দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাবে।

3. ধর্না কর্মসূচিতে ১৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।

4. কোনরকম মাইক, বক্স বা লাউডস্পিকারের ব্যবহার করা যাবে না।

5. ধর্ম মঞ্চ থেকে কোনরকম বেআইনি কার্যকলাপ করা যাবে না। কোনরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।

6.  যদি কোনও ঘটনা ঘটে তার জন্য দায়ী থাকবেন মামলাকারী।