টুনির দাপটে ফিকে মোমবাতির আলো, সঙ্কটে শিল্পীরা 

একজন দক্ষ কারিগর প্রথমে একটি ডাইসের মধ্যে সুতলি পড়াতে থাকেন। সাদা রঙের সেই সুতোলিটিই হল মোমবাতির সলতে।

টুনির দাপটে ফিকে মোমবাতির আলো, সঙ্কটে শিল্পীরা 

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। প্রত্যেকের বাড়িতে রংবেরঙের আলোর বাহার ঝুলবে, দীপাবলীর সময়। বাড়িতে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর উৎসবে অন্ধকার দূর করবেন সমস্ত মানুষরা। তাই এই সময় বাজারে মোমবাতি চাহিদা তুঙ্গে। হুগলির মানকুন্ডুতে রয়েছে একটি মোমবাতি তৈরির কারখানা। সেখানে গিয়ে চোখে পড়ল শ্রমিকদের ব্যস্ততা।

বছরের চার মাস এই কাজের ব্যস্ততা থাকে। ওই কারখানায় একসঙ্গে কুড়ি-বাইশ জন শ্রমিক কাজ করছেন। একটি মোমবাতি তৈরি করতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত মিনিট। তবে একটি নয় তৈরি হয় একসঙ্গে ৫০ টি করে মোমবাতি। মোমবাতি তৈরি শুরু হয় গরম ওভেনে মোমকে গলিয়ে। মোম গলে তরল হয়ে গেলে বালতি করে তা নিয়ে যাওয়া হয় মোমবাতি তৈরির জন্য। 

একজন দক্ষ কারিগর প্রথমে একটি ডাইসের মধ্যে সুতলি পড়াতে থাকেন। সাদা রঙের সেই সুতোলিটিই হল মোমবাতির সলতে। সুতলি পরানো হয়ে গেলে ডাইসটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরে উপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে তার ভেতরে ঢালা হয় গরম তরল মোম। মিনিট পাঁচ রেখে দিতেই তরল মোম জমে শক্ত হয়ে যায় এবং আকার নিয়ে নেয় একটি মোমবাতির।

বর্তমান সময়ে বাজারে চায়না আলো এসে যাওয়াতে অনেকটাই মার খেয়েছেন মোমবাতি তৈরীর সঙ্গে যুক্ত কারিগররা। মানুষজন চায়না আলোর প্রতি ঝুঁকতে দর কমেছে মোমবাতির। 
আলোর জগতে মোমবাতির হারিয়ে যেতে চলেছে চায়না আলো জগতে মোমবাতি শিল্পীদের কাজ নেই। একই সঙ্গে তার প্রভাব এসে পড়েছে কারিগরদের পারিশ্রমিকের উপরেও। আগে যে ফ্যাক্টরিগুলিতে ৩০-৩৫ জন নিয়ে কাজ হতো এখন সেখানে কারিগরের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ থেকে ১৮ জন।