Maynaguri News: গাছে বেঁধে কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন, ধৃত ৫

মৃতের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে একই এলাকার কয়েক জন ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। পড়ুন বিস্তারিত...

Maynaguri News: গাছে বেঁধে কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন, ধৃত ৫

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ময়নাগুড়িতে গাছে বেঁধে কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘরে ফিরতেই খুন ঘরছাড়া কংগ্রেস কর্মী। ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী সহ ৫। বরাবরই প্রতিবাদী, চাপে পড়েও ছাড়েনি কংগ্রেস। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ বুথ সভাপতির উস্কানিতে গাছে বেঁধে মারের চোটে মৃতুর অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানার খাগড়া বাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হটাৎ কলোনিতে। মৃত ব্যক্তির নাম মানিক রায়। ঘটনায় মৃতের ভাই বিজয় রায় বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি মর্গে ময়নাতদন্তের পর দাদার মৃতদেহ নিতে এসে অভিযোগ করে জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তার দাদার ওপর স্থানীয় তৃণমুল নেতারা চাপ সৃষ্টি করে আসছিল, কংগ্রেস দল ছেড়ে দেবার জন্য।
 
নিহতের ভাইয়ের আরও অভিযোগ, যেটাতে তার দাদা রাজি হয়নি। তিনি বলেন, ''এরপর এলাকার নানান অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বরাবরই প্রতিবাদী ছিলেন আমার এই দাদা। যে কারনে, গত পাঁচ বছর আগে দাদার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা করেছিল। যা নিয়ে মামলা আজও চলছে। এরপর প্রাণ বাঁচাতে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়ি গিয়ে বসবাস শুরু করে বেশ কয়েক বছর। গত সপ্তাহে কংগ্রেস দলের সহযোগিতায় গ্রামে ফেরে পরিবার সহ দাদা।'' 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Female-student-of-Malda-gaurbanga-university-allegedly-stabbed-by-former-male-student
 
''বুধবার গ্রামের তৃণমুল কংগ্রেস দলের পঞ্চায়েত, বুথ সভাপতি সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা দাদার বাড়িতে এসে পাঁচ বছর আগের মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। তার দাদা রাজি না হলে, ঘরের বেড়া ভেঙে দাদাকে টেনে হিঁচড়ে বার করে বাড়ির সামনের গাছে বেঁধে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন করে, এরপর দাদার শরীর নিস্তেজ হয়ে গেলে তারা চলে যায়, এমন ঘটনা দেখেই বৌদি ময়নাগুড়ি থানায় ছুটে যায় অভিযোগ জানাতে, পুলিশ আহত মানিক রায়কে প্রথমে ময়নাগুড়ি এবং পরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠালে বৃহঃস্পতিবার ভোরে দাদার মৃতুর খবর পাওয়া যায়।'' 

স্বামীর মৃত্যু প্রসঙ্গে স্ত্রী স্বপ্না রায় বলেন, ''আমাদের ঘরের পাশ দিয়ে নদী সেই নদী থেকে তৃণমূলের লোকজন বালি তুলত। আমার স্বামী তাতে বাধা দিতো। আমরা কেন এত বছর পর আবার গ্রামে আসলাম, সেটা নিয়েও ওদের রাগ, গতকাল রাতে ঘরের বেড়া ভেঙে আমরা ছোটো ছোটো বাচ্চাদের সামনে থেকেই ওরা তুলে নিয়ে গিয়ে গাছে বেঁধে মারে, যার জেরে আমার স্বামী মারা যায়।'' 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Police-recovered-Some-Arms-from-saddam-Sardar-house-at-Kultali

এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির এসপি খণ্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন, ''বৃহস্পতিবার সকালে মৃতের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে একই এলাকার কয়েক জন ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নারায়ণ রায়, রাজকুমার রায়, মিঠুন দাস, দিলীপ রায়, আমন দাস, উত্তম রায়, মাধব রায়, বাপ্পা রায়, সবিতা রায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।''