ধর্মঘটের মাঝেও রেশন পেয়ে খুশি গ্রাহকেরা

পাথর প্রতিমার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে রেশন বিলি

ধর্মঘটের মাঝেও রেশন পেয়ে খুশি গ্রাহকেরা

বছরের শুরু থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য রেশন বিলি বন্ধ রেখেছেন রেশন ডিলালেরা। মূলত রেশনের দুর্নীতি বন্ধ করতে ইতিমধ্যে পহেলা জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম চালু করেছে। এখন পাল্লার উপরে রেশন সামগ্রী তোলার পরেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট কাজ করবে এবং স্লিপ বার হবে। ফলে গ্রাহকদের বহু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যেই কারণে সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনি অভিযোগ করেছেন রেশন দিলালের সহ গ্রাহকেরা। 

অনির্দিষ্টকালের জন্য রেশন বিলি বন্ধ রেখে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রেশন ডিলালেরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমার বিভিন্ন এলাকায় রেশন দিচ্ছেন ডিলালেরা। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে স্লিপ বার হওয়ার পর সেই স্লিপ নিয়ে চাল, আটা, গম দেওয়া হতো গ্রাহকদের, ফলে বেশিক্ষন রেশন দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না বলে এমনটাই জানিয়েছেন রেশন গ্রাহকেরা। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী দ্রব্য প্রথমে মাপতে হবে তারপরেই স্লিপ বার হবে, এই নীতি চালু হওয়ায় পরে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। সঙ্গে সময়ও নষ্ট হচ্ছে গ্রাহকদের। রেশন দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে অর্ধেক দিন রেশন দোকানেই কেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা। 

অন্যদিকে, রেশন ডিলার দেবরাজ মান্না জানিয়েছেন, রেশন ধর্মঘট চলছে ঠিকই, কিন্তু এই ধর্মঘট কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষ যাতে এই ধর্মঘটের কারণে সমস্যায় না পড়েন তার কারণেই এদিন আমরা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষদের রেশন দিচ্ছি। 

এছাড়াও মাসিক ৫০হাজার টাকা, নতুন নিয়মের পরিবর্তন-সহ একাধিক দাবিতে রেশন ডিলারের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছিলেন, যার ফলে গ্রাহকদের কোনও রেশন দেওয়া হবে না বলেই জানা গিয়েছিলো। কিন্তু একদিন ধর্মঘট পালন করে পাথরপ্রতিমা ব্লকের প্রায় সব রেশন ডিলারেরা রেশন দেওয়া শুরু করেছেন। এর ফলে খুশি রেশন গ্রাহকেরা।