Cattle Smuggling Case: বাজেয়াপ্ত সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি

গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

Cattle Smuggling Case: বাজেয়াপ্ত সায়গলের দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দিন যত গড়াচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মত খুলছে গরু পাচার কাণ্ডের জট। গোরু পাচার মামলায় একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার এই মামলায় অনুব্রত সঙ্গী সায়গল হোসেনের ৩২টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই সম্পত্তি সায়গল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বলেই দাবি ইডির। শুধু তাই নয়, এই মামলায় ইডি এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।  

গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, মোট ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার ৩২টি সম্পত্তি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সম্পত্তি সায়গল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বলে দাবি ইডির। বাংলাদেশে গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সিবিআইয়ের পর তদন্ত শুরু করে ইডি।

ইতিমধ্যেই গরু পাচারের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে এনামুল হক, সায়গল হোসেন, বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমার। তাঁদের প্রত্যেককেই রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের। অনুব্রত মণ্ডলকেও  গ্রেফতার করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ইডি। অনুব্রতর দেহরক্ষী তথা পুলিশকর্মী সায়গল হোসেন যে গরু পাচার চক্রের এক মাথা, সেই ব‌্যাপারে ইডির গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন। গরু পাচার সংক্রান্ত চার্জশিটে সায়গলের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। 

ইডির অভিযোগ, গরু পাচারের টাকায় বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে সায়গল। বহু আত্মীয়ের নামেও সায়গলের সম্পত্তি রয়েছে। তদন্ত করে ইডি অনুব্রতর সঙ্গে সঙ্গে সায়গলের বেনামি সম্পত্তিরও হদিশ শুরু করে। সেই অনুযায়ী সায়গলের ৩২টি সম্পত্তির হদিশ মেলে।

গত ২ ডিসেম্বর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তারই জেরে সায়গলের সম্পত্তি আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অপরাধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি