চিংড়ি আমদানি-রফতানি করেই কালো টাকা সাদা, তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে

ভয় দেখিয়ে স্থানীয় মাছ বিক্রেতা এবং মাছ চাষীদের থেকে ৫০ শতাংশ চিংড়ি জোগাড় করত শাহজাহানের ওই সংস্থা। ১০-১৫ শতাংশ চিংড়ি আসত তাঁর ভেড়ি থেকে। বিস্তারিত জানুন...

চিংড়ি আমদানি-রফতানি করেই কালো টাকা সাদা, তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে
ধৃত শেখ শাহজাহান (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পর দিন থেকেই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে CGO কমপ্লেক্স ইডি দফতরে। গত ১০ বছরে দুটি সংস্থার মাধ্যমে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ১৩৭ কোটি টাকারও বেশি। ২০২১-এর মার্চের পর থেকে চিংড়ি আমদানি-রফতানির কারবারের মূল নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ শাহজাহান। শাহাজানের সংস্থা মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারি। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড মাধ্যমে চলেছে এই কারবার। একটি কোম্পানি থেকে ১০৪ কোটি টাকা এবং অন্য একটি কোম্পানি থেকে ৩৩ কোটি টাকা। 

মেমার্স ম্যাগনাম এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড এর ম্যানেজারের সঙ্গে যখন ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন সেই আধিকারিকদের নাম অরুণ সেনগুপ্ত ব্যবসায়ী জানান, ২০২১-২০২৩ পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ চিংড়ি কেনাবেচা ভুয়ো নথি দেখিয়েই হয়েছে দাবি ইডি-র ইডি-র দাবি, এই প্রস্তাবে প্রথমে রাজি না হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। শাহাজান এর নির্দেশেই ভুয়ো নথি তৈরি করা হত। শেখ শাহজাহান নগদ দিতেন। যা অরুণ সেনগুপ্তর সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে চলে যেত। মেসার্স অরূপকুমার সোম নামে আরেকটি কোম্পানি থেকে শেখ শাহজাহানের কোম্পানিতে জমা পড়েছে ৩৩ কোটি টাকা। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Sheikh-Shahjahan-get-ed-custody-till-13-april

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভয় দেখিয়ে স্থানীয় মাছ বিক্রেতা এবং মাছ চাষীদের থেকে ৫০ শতাংশ চিংড়ি জোগাড় করত শাহজাহানের ওই সংস্থা। ১০-১৫ শতাংশ চিংড়ি আসত তাঁর নিজের মাছের ভেড়ি থেকে আর বাকি ৩৫-৪০ শতাংশ চিংড়ি আসত গ্রামবাসীদের থেকে জোর করে দখল নেওয়া ভেড়ি থেকে।

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/People-Show-protest-due-to-facing-water-problem-at-bankura-areas

সোমবারই ইডি আদালতকে জানিয়েছে, শাহজাহানের জমি এবং ভেড়ি দখলের কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। ইডির আইনজীবী বলেন, জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসাবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের মেয়ে শেখ সাবিনার নামে। ইডির দাবি, চিংড়ি বেচা-কেনা করে দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। ৩১ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করা হয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেছিল ইডি।