দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত, মাত্র ৫ টাকায় দেদার ভাপা পিঠে বিকোচ্ছে এই জেলায়

বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয় এই শীতের মরশুমে। তাই খাদ্য রসিকদের কাছে শীতকালের সময়টা বেশ ভালোই কাটে।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত,  মাত্র ৫ টাকায় দেদার ভাপা পিঠে  বিকোচ্ছে এই জেলায়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মিটে গিয়েছে উৎসবের মরশুম। আকাশে-বাতাসে হিমের পরশ জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর দুয়ারে শীত মানেই পিঠেপুলির উৎসব। শীতকালে নলেন গুড় সঙ্গে মা-ঠাকুমা, দিদিমাদের হাতে গড়া ভিন্ন স্বাদের রকমারি পিঠে খেতে ভালোবাসেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর বটে! 

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয় এই শীতের মরশুমে। তাই খাদ্য রসিকদের কাছে শীতকালের সময়টা বেশ ভালোই কাটে। খাদ্য রসিকদের রসনায় তাল মেলাতে বিভিন্ন রকমের খাবারের পসরা নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়েন বিক্রেতারা। তেমনই শীতকালে উত্তরবঙ্গবাসীদের অন্যতম পছন্দের খাবারের নাম 'ভাপা পিঠে'। যাকে চলিত ভাষায় অনেকেই বলে থাকেন 'ভাপা পিঠা' বা 'ভাপাইয়া পিঠা'।কম বেশি সকলেরই বেশ জনপ্রিয় খাদ্য এই ভাপা পিঠা। 

এই পিঠে ফুটন্ত গরম জলের বাষ্পর দ্বারা তৈরি হয়। চালের গুঁড়ো এবং হালকা খেজুরের গুড় এবং নারকেলের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি এই পিঠে দেখতে হয় সাদা-নরম। অনেকটাই দক্ষিণ ভারতের ইডলির মতো। কিন্তু স্বাদ-গন্ধে এক্কেবারে অন্যরকম। এই ভাপা পিঠে খেতে শহরবাসীর ভিড় উপচে পড়ে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন ভাপা পিঠের দোকানগুলিতে। মূলত এই পিঠে পাওয়া যায় সাত সকালে ভোরের দিকে এবং সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ আগে থেকে শুরু হয় বিক্রিবাটা। 

কর্মব্যস্ততার যুগে বিদেশী রকমারি খাবার বাজারে বিক্রি হলেও এখনও ভাপা পিঠের চল রয়েছে জলপাইগুড়িতে। যা খেতে রীতিমতো ভিড় জমেছে ভাপা পিঠার দোকানগুলিতে। শীত পড়তেই জমে উঠেছে ভাপা পিঠা ভাপিয়ে খাবার ধুম। জলপাইগুড়ি শহরের এখন বেশি ভাগ জায়গায় ঘুরলেই দেখা যায় ভাপা পিঠা বানানোর ছবি। ধান থেকে চাল আবার সেই চাল গুঁড়ো করে উনুনে গরম জলের উপরে হাঁড়িতে ভাপিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। যা খেতেই রীতিমত ভিড় শুরু হয়েছে। এমনকি এই পিঠা খেতে দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ আসেন এই জেলায়‌।