শিল্পের দেবতার আরাধনায় ফুলের ঘা'য়ে মূর্ছা যাওয়ার জোগার, মাথায় হাত চাষিদের

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একেতেই এ বছর গ্রীষ্মকালে ছিল না বৃষ্টি! ফলে জল কিনে চারা গাছ বাঁচাতে হয়েছে কৃষকের জমিতে। যে সময় গাছের বার বারন্ত সে সময় জল ছিল না। আর এখন ফুল ফোটার পর বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে তা, মূল্যবান সার কীটনাশক এবং কৃষি শ্রমিকের খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন ফুল চাষীরা। নদীয়ার রানাঘাটের নোকারি পুর্ননগর চাপড়া সহ বিভিন্ন এলাকার ফুল চাষিরা এমনই জানাচ্ছেন ফুল বিক্রি করে ফেরত আসার সময়।  

তাদের কথায়, বিশেষ করে রজনীগন্ধা এবং গাঁদা ফুলের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। জারবেড়া দোপাটি এই ধরনের এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ফুলের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা। তবে প্রতিবছর বর্ষার সময় ফুলের দাম কম থাকে। কিন্তু তাই বলে ফুল ফেলে দেওয়ার মতন পরিস্থিতি হয় না। এভাবে দাম চলতে থাকলে কৃষকের মাঠের জমি থেকে বিক্রির হাট পর্যন্ত পৌঁছানোর খরচ উঠবে না বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Sandip-Ghosh-and-Abhijit-Mondal-case-hearing-in-RG-Kar-incident

 আর তার ফলেই জমির ফুল জমিতেই নষ্ট হবে বলে মনে করছেন তারা। তবে শুধুই যে কৃষক কিংবা বিক্রেতাদের অসুবিধা এমন নয়! ফুলে  লাগাতার বৃষ্টির জল পড়ার কারণে একদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর সেই কারণে স্থানীয় বাজার ছাড়া দূরে কোথাও পাঠানো যাচ্ছে না সারা বছরের আশার ফুল।  আর এরই ফলে বিশ্বকর্মা পুজোর মুখে উদ্যোক্তারাও ফুলের ঘায়ে মুর্ছা যাবেন এমনটাই মনে করছেন কৃষকরাও।