বন্ধু খুনে ত্রিকোণ প্রেম! ধৃত অভিযুক্ত

ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই কি বন্ধুকে খুন করেছে আকাশ?

বন্ধু খুনে ত্রিকোণ প্রেম! ধৃত অভিযুক্ত

পাথর খাদানে বন্ধুকে নিশংসভাবে খুন করে দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষ রক্ষা। পুলিশের জালে অভিযুক্ত বন্ধু। পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। কিন্তু কেন এই খুন? ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই কি বন্ধুকে খুন করেছে ধৃত? এমনই প্রশ্নে বাড়ছে রহস্য। গত বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের পারুলিয়ার ড্যামপাড়ায় হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বছর ২০-র অনিল ভূঁইয়ার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত অনিল ভূঁইয়ার প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ ভূঁইয়া। তাদের মধ্যে এমনটাই বন্ধুত্ব ছিল যে, অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম ট্যাটু করে লেখা ছিল। তদন্তের ভিত্তিতে এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে। অনিল ভূঁইয়ার সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চেয়েছিল আকাশ। সেই নিয়েই চলছিল অনিলের সঙ্গে আকাশের বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ। বুধবার সকালে ভুল বুঝিয়ে অনিলকে আকাশ নিয়ে যায়। তারপরেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পারুলিয়ার পাথর খাদানের পাশে দু'জনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতেই অনিলের হাত শরীরের পিছনে বেঁধে এবং দুটি পা বেঁধে গলায় কালো কাপড় দিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করে আকাশ ভূঁইয়া বলে অভিযোগ। তারপরেই অন্ডালের বহুলার দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত বন্ধু। সেখান থেকেই বুধবার রাতে আকাশ ভূইয়াকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। মৃত যুবকের মা সীতা ভূঁইয়ার অভিযোগ, "তাঁর ছেলে অনিলের আকাশ ভূঁইয়ার সাথে মাঝেমধ্যে বিবাদের ঘটনাও ঘটতো। কিছুদিন আগে আকাশ অনিলের স্মার্টফোন ভেঙে দেয়। সেই রাগে অনিলও তার বন্ধু আকাশের মোবাইল ভেঙে দেয়। তারপর থেকে আকাশ এবং আকাশের পরিবারের লোকজন অনিলের মাকে এবং অনিলকে রীতিমত মেরে ফেলার হুমকি দিত। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা আকাশকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে পুলিশ।