Duttapukur Blast: NIA তদন্তে হাইকোর্টে ধাক্কা শুভেন্দুর, BJP-র জোড়া মামলা খারিজ

দত্তপুকুর বিস্ফোরণে তদন্তে হস্তক্ষেপে করল না কলকাতা হাইকোর্ট। দত্তপুকুরকাণ্ডে এন আই এ তদন্ত চেয়ে গতকাল আদালতে জোড়া মামলা দায়ের করে BJP।

Duttapukur Blast: NIA তদন্তে হাইকোর্টে ধাক্কা শুভেন্দুর,  BJP-র জোড়া মামলা খারিজ
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার রাজ্যের হাতেই দিল আদালত। বিজেপির করা জোড়া মামলা খারিজ আদালতে। রাজ্যের হাতেই তদন্তভারের দায়িত্ব তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার আদালতে বিজেপির করা জোড়া মামলা খারিজ হয়ে গেল আজ। খারিজ শুভেন্দু অধিকারী ও রাজর্ষি লাহিড়ির মামলা। দত্তপুকুর বিস্ফোরণে তদন্তে হস্তক্ষেপে করল না কলকাতা হাইকোর্ট। দত্তপুকুরকাণ্ডে এন আই এ তদন্ত চেয়ে গতকাল আদালতে জোড়া মামলা দায়ের করে BJP। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে খারিজ হয়ে গেল সেই আবেদন। দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার রাজ্যকে দিল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনই এই তদন্ত একেবারেই অপরিণত অবস্থায় রয়েছে, তাই এই মামলার শুনানি এখনই সম্ভব নয়। আর তাই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “২৭ অগস্টের ১২ টা দুপুরে হয়েছে। মাত্র একদিন আগেই হয়েছে। যদি তদন্তে গাফিলতি দেখা যায় তাহলে আসুন।” প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সংবাদপত্রের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মামলা হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে এটা এখনও প্রিম্যাচিওর. এই রাজ্যেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যে একই ঘটনা ঘটে। লাইসেন্স ছাড়া কারখানাতে এই ঘটনা ঘটে। রাজ্য ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে।” আর সেই তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। তাই তিনি এই মামলা খারিজ করে দেন।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার ২৭ অগাস্ট দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসত মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ৫ জন। ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। এগরা, বজবজের পর বারুদের স্তুপে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের দত্তপুকুর এলাকা। রবিবার সকালে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাড়ির চালে উড়ে পড়ে মৃতদেহ। বিস্ফোরণে এক বাড়ির চাল উড়ে যায় অন্য বাড়িতে। এক বাড়ির দেওয়াল উড়ে গিয়ে পড়ল আরেক বাড়িতে। কার্যত লন্ডভন্ড পরিস্থিতি গোটা এলাকায়। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এরপরই  ঘটনার দায়ভার নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।