Asansol News: নজরে হিসাব বহির্ভূত বাড়ি- গাড়ি সম্পত্তি! প্রাক্তন TMC বিধায়কের বাড়ি-অফিসে আয়কর হানা

হীরাপুরের শেখ আলীর ছেলে সোহরাব আলী। শেখ আলী পেশায় গাড়ির চালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেইসূত্র ধরেই সোহরাব আলি লোহার কারবারে নামেন।

Asansol News: নজরে হিসাব বহির্ভূত বাড়ি- গাড়ি সম্পত্তি! প্রাক্তন TMC বিধায়কের বাড়ি-অফিসে আয়কর হানা
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি (বাঁ দিকে)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বুধবার সাতসকালে রাজ্যে ফের আয়কর (IT) হানা। নজরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি। আসানসোল সহ একযোগে রাজ্যের ৭ জায়গায় চলছে আয়কর অভিযান। আসানসোলের লোহা ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদের অফিসে তল্লাশি। রানিগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা লোহা ব্যবসায়ী সোহরাব আলির ঠিকানায় তল্লাশি। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি ও কর ফাঁকির অভিযোগে আয়কর-হানা। কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। 
 
সূত্রের খবর, রানীগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে বুধবার সকালেই আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ও অফিসে চলছে আয়কর তল্লাশি (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ন'টি গাড়িতে করে বুধবার ভোরে বার্নপুরের রহমত নগরে আয়কর দফতরের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছয়। এরপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান। হিসাব বহির্ভূত টাকা ও সম্পত্তির তথ্য তালাশে এই আইকর সংক্রান্ত এই অভিযান বলে সূত্র মারফৎ খবরে জানা গিয়েছে। এদিকে বিধায়কের বাসভবনে আয়কর তল্লাশির খবর চাউর হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। 

কে এই সোহরাব আলি? জানা গিয়েছে, হীরাপুরের শেখ আলীর ছেলে সোহরাব আলী। শেখ আলী পেশায় গাড়ির চালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেইসূত্র ধরেই সোহরাব আলি লোহার কারবারে নামেন। অভিযোগ, লোহার ব্যবসার আড়ালে ধরমপুরে বেআইনি কাঁটা চালানো,বার্নপুরে রেল ওয়াগেন ব্রেকিং করা, ইস্কো কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপের বেআইনি ধান্দা সহ নানা আভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটে কখনও নির্দল প্রার্থী কখনও লালু প্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। পুরভোটে নির্দলে দাঁড়িয়ে সিপিএমের তাহের হুসেনকে হারিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া পরে আরএসপিতে যোগদান করেন। শেষে আরএসপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন। ১৯৯৫ সালে আরপিএফ একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। কুড়ি বছর ধরে মামলা চলেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, রেলের ওয়াগান চুরি করেছেন সোহারাব। সেই মামলায় ২০১৫ সালে সাজা পান তিনি। তবে বিধায়ক থাকার দরুন একদিনেই জামিনে মুক্তি মেলে তাঁর। এরপর আর টিকিট পাননি সোহারাব। পরবর্তীকালে প্রোমোটারিতে ঢুকে যান। তাঁর এই আর্থিক প্রতিপত্তির হিসাব নিকেশ দেখতেই গোয়েন্দাদের হানা বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়!