Jadavpur News: মৃত ছাত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিখণ্ডী, যাদবপুরকাণ্ডে নয়া মোড়

শুধু র‍্যাগিংই নয়। মৃত ছাত্রকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিখণ্ডী করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। মৃত ছাত্রের ডায়রিতে লেখা চিঠিতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Jadavpur News:  মৃত ছাত্রকে নিয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিখণ্ডী, যাদবপুরকাণ্ডে নয়া মোড়
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দিন যত গড়াচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মতো উঠে আসছে Jadavpur University-কাণ্ডের একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু তথ্য বললে কম বলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কী চলত সেই নিয়ে এক এক করে উঠে আসছে রহস্যজনক তথ্য। ধৃত ৯ জনকে জেরা করে এবার পুলিশের হাতে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, শুধু মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনই টার্গেট নয়। মৃত ছাত্রকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিখণ্ডী করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। পুলিশি জেরায় ধৃতদের বয়ানে উঠে এসেছে এমনই সব একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

জানা গিয়েছে, শুধু র‍্যাগিংই নয়। মৃত ছাত্রকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের শিখণ্ডী করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। মৃত ছাত্রের ডায়রিতে লেখা চিঠিতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, বাংলা বিভাগে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের প্রভাব রয়েছে। ধৃতদের সেখানে কোনও প্রভাবই ছিল না। যারফলে ধৃতদের যেহেতু প্রভাব নেই সেই প্রভাব ভাঙতে মরিয়া ছিল ধৃত সৌরভ চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে, যারা অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যার ফলেই এখান থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়, বাংলা বিভাগের ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে তারা ডিনের উদ্দেশে একটা চিঠি লেখাতে চেয়েছিল মৃত পড়ুয়াকে দিয়ে। 

তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন,মূল ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ অগাস্ট রাতে।  সেদিন রাতে ১০৪ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় স্বপ্নদীপকে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে বাংলা বিভাগের ওই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে  (ওই ছাত্র নেতা চাপ দিচ্ছে) - এরকম একটি বয়ান ওই পড়ুয়াকে দিয়ে ডিনের কাছে লেখানো হচ্ছিল। কিন্তু মৃত ছাত্র কোনও ভাবেই সেই চিঠি লিখতে চাইছিলেন না। যারফলে (সৌরভ চৌধুরীর, সপ্তক ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বয়ান অনুযায়ী) ধৃত দিপশেখর সেই চিঠি লেখে। তারপর মৃত ওই পড়ুয়াকে দিয়ে এই চিঠিতে সই করানো হয়। যদিও পুলিশ অনুমান করছে, এই সই স্বপ্নদীপকে চাপ দিয়ে করানো হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। এই বিষয়টি তদন্তকারী আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন। সেদিন এই পড়ুয়া নিয়ে থেকে সই করেছিল নাকি তাকে চাপ দিয়ে সই করানো হয়েছিল। এখন দেখার এই জল কতদূর গড়ায়!