জেঠুর শ্রাদ্ধের কাজে এসে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল নাবালিকা

দেহ তল্লাশির জন্য বাসিন্দারাই নদীতে মাছধরার জাল ফেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ।

জেঠুর শ্রাদ্ধের কাজে এসে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল নাবালিকা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জেঠুর শ্রাদ্ধের কাজে গিয়ে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক নাবালিকা। বুধবার সকালে মালদহের চাঁচল থানার মহানন্দা নদীর গালিমপুর ঘাটের ঘটনা। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। 

জানা গিয়েছে, দেহ তল্লাশির জন্য বাসিন্দারাই নদীতে মাছধরার জাল ফেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার নাম টগরী দাস(১০)। বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে দরিয়াপুরে।

 পুলিশ  ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  কয়েকদিন আগে ওই নাবালিকার জেঠু মারা যান। বুধবার ছিল তারই পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম। সেই কাজ সেরে বাবার সঙ্গে নদীতে স্নান করতে যায় টগরী। কিন্তু স্নান করতে গিয়ে নদীর জলে তলিয়ে যায় ওই নাবালিকা।

এদিকে টগরী তলিয়ে যেতেই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। চলে তল্লাশি অভিযান। কিন্ত দুপুর পর্যন্ত মেলেনি নাবালিকার কোনও খোঁজ। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, দুটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল দেহ তল্লাশির জন্য এসেছে। 

নিখোঁজ নাবালিকার বাবা হরেশ মন্ডল বলেন, ''১০ দিন আগে দাদা মারা গিয়েছে। আজ দাদার শ্রাদ্ধের ক্রিয়াকর্ম ছিল। পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা নদীতে এসেছিলাম স্নান করতে। আমার সঙ্গে আমার মেয়ে স্নান করতে নেমে নদীর জলে তলিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এখনও পর্যন্ত মেয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। 

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ ও বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য। নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি দ্রুত দেহ উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন।