শিল্পীর ক্যানভাসে বাংলা নববর্ষ, ঠাঁই পেয়েছে ইদের সম্প্রীতির ছবিও

ভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় পুজোঅর্চনা এখন শুধুমাত্র ধর্মের সীমারেখাতেই আবদ্ধ নেই। ধর্ম যার-যার হলেও উৎসব যে সবার সেই আনন্দই উৎসবের আকার নেয় সকলের কাছে। 

শিল্পীর ক্যানভাসে বাংলা নববর্ষ, ঠাঁই পেয়েছে ইদের সম্প্রীতির ছবিও
শিল্পীর ক্যানভাসে এভাবে ফুটে উঠছে নানা ছবি (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই বাংলা শুভ নববর্ষ। নতুনবর্ষ বরণের উৎসবে মাতবে আমবাঙালি। তার আগে বাংলা নববর্ষের উচ্ছ্বাস পোশাকে ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত শিল্পীরা। শুধু পয়লা বৈশাখই নয়, শিল্পীর ক্যানভাসে ঠাঁই পেয়েছে ইদের সম্প্রীতির ছবিও। 

বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় পুজোঅর্চনা এখন শুধুমাত্র ধর্মের সীমারেখাতেই আবদ্ধ নেই। ধর্ম যার-যার হলেও উৎসব যে সবার সেই আনন্দই উৎসবের আকার নেয় সকলের কাছে। 
সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর বাঙালির দুর্গাপুজো, দোল, সরস্বতী পুজো নববর্ষের  উচ্ছ্বাস পোশাকেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। চুড়িদার, কুর্তি,শাড়ি ব্লাউজ পাঞ্জাবি ঘর সাজানো বিভিন্ন সৌখিন শোপিস থেকে শুরু করে, টেবিল ক্লথ এমনকি দরজা জানালার পর্দাতেও  উৎসবের ছোঁয়া রাখতে উদগ্রীব উৎসবমুখর বাঙালি। তবে বিভিন্ন দেব-দেবীদের পোশাকের বিশেষ কোনও স্থানে বিশেষ করে পায়ের দিকে ধরনের ছবি আঁকার বিপক্ষে অনেকেই। 


অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে বড়দিনের শান্তাক্লস বা ক্রিসমাস ট্রি স্থান পেলেও, মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন অনেকেই পোশাকে কলকা বা সাধারণ কোনো ডিজাইন পছন্দ করলেও, ধর্মীয় বিষয়ে উপস্থাপনা না পসন্দ।তবে, বদলাচ্ছে চিন্তা ভাবনা মানসিকতা রুচি। নদীয়া জেলার শান্তিপুরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার সোনা শর্মার বাড়িতে এ ধরনের ওয়ার্কশপে ক্যানভাসে ঠাঁই পেয়েছে খুশির ইদের ছবিও। তিনি জানান আসন্ন ইদ উপলক্ষে এক ক্রেতা এই অর্ডার দিয়েছেন তাকে। 
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা বিষয় ভাবনা দিয়ে থাকলেও, রঙের বিষয়টি ছেড়ে দেন শিল্পীর উপরেই। 

অন্যদিকে উৎসবে বহুল প্রচলিত বিষয়গুলির যোগান বজায় রাখতে বেশ কিছু বিষয় অর্ডার ছাড়াই ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে করিয়ে রাখেন তিনি।  পেশায় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের কম্পিউটার এবং ড্রইং এর শিক্ষক। দুই ছাত্র-ছাত্রীর নিয়ে বাড়িতেই ছবি আঁকার  স্কুল তৈরি করেছেন বহু আগে। তবে অনুভব করেছিলেন একসময়, ভালোলাগা আবেগ হার মানতে পারে বেকারত্বের কাছে। তাই পেশামুখী ছবি আঁকার ব্যবস্থা চালু করেন বছর তিনেক আগে। আগ্রহী ছাত্র ছাত্রীরা সেখানে অংশগ্রহণ করে, আজ অনেকেই সফল। 

বাটিক বুটিক বাঁধনি বস্ত্র শিল্পের নানান শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলে জীবন জীবিকা যে নির্বাহ করা যায়, তা বিশ্বাস করেন তিনি। তাই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সেই কাজ।