ডিজিটাল নয়, সাধারণ পুস্তকই পছন্দ বইপ্রেমীদের

একসময় গল্পের বই নিয়ে শীতের আলসে দুপুরে কিংবা ঝমঝমে বর্ষায়,কেটে যেতো ঘন্টার পর ঘন্টা। এখন কী সেখানেও থাবা বসালো ডিজিটাল বই? আরও জানুন...

ডিজিটাল নয়, সাধারণ পুস্তকই পছন্দ বইপ্রেমীদের
কলকাতা বইমেলায় ভিড় বইপ্রেমীদের (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জীবন এখন গতিময়, সময়ের সঙ্গে নয়! পারলে দৌড়াচ্ছে সময়ের আগে। বিনোদনের মাধ্যম বদলেছে, মাঠ ভরা ছেলের দল আটকে স্মার্টফোনে। তবে কী বই পড়াও এখন ডিজিটালে? কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা কর্তৃপক্ষ বা প্রকাশকরা অবশ্য মানছেন না সেকথা।

 ডাকছে আকাশ, ডাকছে বাতাস,ডাকছে মাঠের সবুজ ঘাস। না এইকথাগুলি এখন অনেকটাই অতীত। স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আর মরসুমি কিছু টুর্নামেন্ট ছাড়া মাঠগুলো আর ভরে থাকে না। শৈশব,কৈশোরের একটা বড় অংশই এখন ডিজিটালিস। স্মাটফোনের একটা স্পর্শে পৌঁছে যাচ্ছে এদেশ থেকে সেদেশ। একসময় গল্পের বই নিয়ে শীতের আলসে দুপুরে কিংবা ঝমঝমে বর্ষায়,কেটে যেতো ঘন্টার পর ঘন্টা। এখন কী সেখানেও থাবা বসালো ডিজিটাল বই? কাগজের বইয়ের বদলে স্মার্টফোনে ডিজিটাল বই? কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ বা প্রকাশকরা অবশ্য মানছেন না সেকথা। কোভিটের সময় কিছুটা প্রভাব পড়লেও এখন তা কাটিয়ে উঠেছে।এমনই মত পত্রভারতীর কর্ণধার তথা গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের।

দেজ পাবলিশার্সের কর্ণধার তথা গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে- মতও তাই, ডিজিটাল বই এলেও কাগজের বইয়ের চাহিদা এখনও অটুট।তবে এবারের বইমেলায় বেড়েছে অনলাইনে বইকেনা। গুগুল পে,ফোন পে কিংবা পেটিএমেই কেনাকাটিতে সাচ্ছন্দ্য পাঠকরা। তাই গিল্ড অফিসের পাশের এটিএমে এবার আর তেমন লাইন নেই টাকা তোলার।