সামনেই বড়দিন, কেক তৈরির প্রস্তুতি তুঙ্গে বেকারিতে

মার্জারিন, ময়দা, সোয়াবিন তেল, ডিম, কাজু, কিসমিস সহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুস্বাদু কেক।

সামনেই বড়দিন, কেক তৈরির প্রস্তুতি তুঙ্গে বেকারিতে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সামনেই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই নানা স্বাদের কেকের মেলা। শুধু তাই-ই নয়, পুজো আর প্রসাদ দু'টিই উৎসবপ্রিয় বাঙালির কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিবিধের মাঝে পড়ে কী ভাবে যেন পৌষ-পার্বণের সঙ্গে বড়দিনও এখানকার উৎসবে পরিণত হয়েছে। উত্তুরে হাওয়ায় বড়দিনের সকালে চড়ুইভাতি না হলেও এক টুকরো কেক কিন্তু চাই-ই চাই বাঙালির। হিন্দুদের পুজোর ভোগের মতোই খ্রিস্টানদের কাছে কেক প্রসাদের মতো। ঠিক যতটা যত্ন নিয়ে পুজোর ভোগ রান্না করা হয়, ততটাই যত্ন নিয়ে বাড়িতে কেক তৈরির চল রয়েছে নানা জায়গার খ্রিস্টানদের মধ্যে।

শুধু বাড়িতেই নয়, হোম মেড কেকের পাশাপাশি এখন চরম ব্যস্ততা বিভিন্ন বেকারিগুলিতেও।
 মালদহ শহরের বিভিন্ন বেকারিতে রাত জেগে চলছে কেক তৈরির কাজ। কারণ, আর মাত্র দু'দিন পর বিশ্বজুড়ে পালিত হবে বড়দিন উৎসব। এই দিনটি মূলত খ্রিষ্টানদের হলেও উৎসাহ উদ্দিপনা থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই মালদহবাসীও। এখন বড়দিন উপলক্ষে কেক তৈরিতে ব্যস্ত বিভিন্ন বেকারির কর্মীরা। রাত জেগে চলছে কেক তৈরির কাজ। 

মার্জারিন, ময়দা, সোয়াবিন তেল, ডিম, কাজু, কিসমিস সহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুস্বাদু কেক। তবে বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবারের মত এবারও ফ্রুট কেকের চাহিদা বেশি। 
অভিজ্ঞ কারিগর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কেক। মালদহ শহরের রাজমহল রোড এলাকায় একটি বেকারিতে কেক তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক মেশিনে। জানা গিয়েছে, পরিবেশবান্ধব এই মেশিন। দূষণের মাত্রা নেই বললেই চলে। মাত্র ৪৫ মিনিটে আধুনিক মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে ৬৮ পাউন্ড কেক। বেকারির মালিক দেবাশীষ সাহা জানিয়েছেন, গত দুই বছর করোনা আবহে তেমন ব্যবসা হয়নি। এবছর বিধি নিষেধ না থাকার কারণে ভাল ব্যবসা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পরিবেশ যাতে দূষণ না হয় তার জন্য আধুনিক মেশিনে কেক তৈরি করছেন তারা। শুধু তাই নয়, বড়দিনের প্রি সেলিব্রেশন শুরু হতেই তৈরি করা হচ্ছে রকমারি কেক।