পাসের দাবিতে স্কুলে বিক্ষোভ

বিক্ষোভ অকৃতকার্য ছাত্রী ও অভিভাবকদের

পাসের দাবিতে স্কুলে বিক্ষোভ

কথায় আছে - "পড়াশোনা করে যেই জন, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই জন"। কিন্তু এই কথাকে আজকের প্রজন্ম হয়তো ভুলে গেছে। তাই পড়াশোনা না করেই পাস করতে চায় ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গ দেন কিছু কিছু অভিভাবক-অভিভাবিকরা। এমনি ঘটনার চিত্র উঠে এল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া শফিক আহমেদ গার্লস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। ৫৪ জন ছাত্রী অকৃতকার্য, কিন্তু তাদেরকে পাস করেই দেওয়ার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ চলে পড়ুয়া এবং অভিভাবক-অভিভাবিকাদের। 

৫৪ জন ছাত্রী অকৃতকার্য, কিন্তু তাদেরকে পাস করেই দেওয়ার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ। বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার হাড়োয়া শফিক আহমেদ গার্লস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমন ঘটনা নজরে এল। ছাত্রী ও অভিভাবকদের দাবি, ৫৪ জন ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯ জনকে পুনরায় পাস করিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উঠতে গিয়ে ৪৫ জন ছাত্রী অকৃতকার্য রয়েছে। তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদেরকে পাস করিয়ে দিতে হবে। সেই দাবি নিয়ে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা। 

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীরা প্রায় সব বিষয়ে ফেল করেছেন অর্থাৎ পাঁচটার মধ্যে কেউ পাঁচটায় ফেল করেছেন আবার কেউ চারটেতে ফেল করেছে। তাই জন্য তাদের উজ্জল  ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাদেরকে পাস করানো হয়নি। এরপরেও যদি অভিভাবকেরা বলেন তাদের সন্তানদের পাস করিয়ে দিতে হবে, কিন্তু যদি অভিভাবকেরা নিজেরা দায়িত্ব নেন তবেই তাদের পাশ করিয়ে দেওয়া হবে।

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মৈত্রী দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, যারা পাস নম্বর নিয়ে পাস করেছেন তাদেরকেই দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। আর যারা অকৃতকার্য অর্থাৎ ফেল করেছেন শুধু তাদেরকেই ক্লাসে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিদ্যালরের নিয়ম মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মেয়েগুলিকে যদি আমরা দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করি তবে তারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করবে। আর এসব বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও দায় দিতে পারে না।

তবে এই বিষয় নিয়ে অনেক অভিভাবকেরা বলেছেন, কিছু কিছু অভিভাবকদের কারণেই পড়ুয়ারা নষ্ট হচ্ছেন। পড়ুয়ারা যা বলছেন অভিভাবকেরা তার সঙ্গেই সঙ্গ দিচ্ছেন। ফলে সমাজে এর একটা খারাপ প্রভাব পড়ছে। অভিভাবকদের উচিত সঠিকটা বিচার করা।