সন্দেশখালির আঁধার! গণতন্ত্রের আয়নায় কলঙ্ক?

সন্দেশখালির মাটি এখনো কাঁপছে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা রাজ্য রাজনীতিকে হিমশিম খাওয়াচ্ছে।

সন্দেশখালির আঁধার! গণতন্ত্রের আয়নায় কলঙ্ক?

নিখোঁজ শাহজাহান! গ্রেফতার এড়াতে পালানোর আশঙ্কা, ইডির কড়া রুখ!গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। তিনি আজই ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন এবং সন্দেশখালি ও বনগাঁর ঘটনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বৈঠকে ইডি আধিকারিকরা শাহজাহানকে গ্রেফতারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের ধারণা, শাহজাহান দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেন। সেই কারণে ইতিমধ্যেই তার আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

শাহজাহানকে ধরার লক্ষ্যে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দলটি ঘটনাস্থলে পুনর্নির্মাণ করবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করবে। এমনকি, পুলিশের কাছে করা FIR-এ খুনের চেষ্টার ধারা না রাখার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শাহজাহানকে ধরতে ইডির তৎপরতায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, ইডির তদন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে বিরোধী দলগুলি এই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ইডির কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইডির এই কড়া রুখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কাজে লাগবে নাকি? আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য প্রশাসন কি ভূমিকা নেবে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া যাবে আগামী দিনে। তবে একটু কথা স্পষ্ট, নিখোঁজ শাহজাহানের পক্ষে সময় ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ইডির কড়া হাত থেকে পালাতে পারবেন তিনি কিনা, সেটাই এখন দেখার। 

সন্দেশখালির মাটি এখনো কাঁপছে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা রাজ্য রাজনীতিকে হিমশিম খাওয়াচ্ছে। এই অশান্ত সময়ে কলকাতায় এসেছেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। আশার আলোকপাত, নাকি আরো ঘনিয়ে আসবে আঁধার?রাহুল নবীনের আগমন একটু আশার আলোকপাত করলেও প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে। কবে ধরা পড়বেন শাহজাহান? আইন কার্যকর হবে কি? নাকি রাজনৈতিক খেলায় হারিয়ে যাবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও ন্যায়ের দাবি?