উত্তরের একাধিক নদীতে বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে জল, বন্ধ জাতীয় সড়ক

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও তাদের লাইনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে টয়ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। যতক্ষণ তা না হচ্ছে ততক্ষণ টয়ট্রেন চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে। জানুন বিস্তারিত...

উত্তরের একাধিক নদীতে বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে জল, বন্ধ জাতীয় সড়ক
ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতরের তিনধারিয়া-গয়াবাড়ি-মহাননী এলাকায় জাতীয় সড়কের অবস্থা খতিয়ে দেখার পরই জেলাশাসক এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নোটিস জারি করেছেন। নোটিসে বলা হয়েছে, ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সমস্ত রকম যানবাহনের জন্য আপাতত বন্ধ থাকবে। সুকনার দিকে তিনধারিয়া এলাকায় ও কার্শিয়াংয়ের দিকে মহানদী এলাকায় যে জনপদ রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের একমাত্র সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও তাদের লাইনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে টয়ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। যতক্ষণ তা না হচ্ছে ততক্ষণ টয়ট্রেন চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

এদিকে একটানা ভারী বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। শনিবার রাত থেকেই অশনি সঙ্কেত দেখতে পেয়েছিলেন জলপাইগুড়ি শহরের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র দিনবাজারের ব্যবসায়ীরা। রাত থেকেই হোলসেল মাছ বাজার সহ অন্যান্য জায়গা জল থৈ থৈ অবস্থা। রবিবার সপ্তাহের মূল ব্যাবসার দিন, আর এমন দিনেই কার্যত করলা নদীর জলে ডুবে রয়েছে বাজার, এই প্রসঙ্গে দীর্ঘ্য ৬২ বছর ধরে এই বাজারে মাছ বিক্রেতা সর্বন শা বলেন, বছরে দু একদিন আমাদের এই ভোগান্তির শিকার হতে হয়, আজ মাছ বাজার নিজেই ডুবে রয়েছে।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Union-Tourism-Minister-Gajendra-Singh-Shekhawat-in-Kolkata-on-a-two-day-state-visit

অপরদিকে মূল বাজার করলা নদীর জলে প্লাবিত, এদিকে রবিবার দিনেই সরগরম হয় মাছ বাজার, ভিড় থাকে ক্রেতাদের আর এই দিনেই যদি দোকান করা না যায় তাহলে কি করে চলবে , অগত্যা দিন বাজারের সংলগ্ন করলা নদীর সেতুর ওপরেই মাছ নিয়ে বসেছি, এমনটাই জানালেন অপর এক মাছ বিক্রেতা জয়দেব দেবনাথ। রবিবার সকালে এক অদ্ভুত দৃশ্য জলপাইগুড়ি শহরে, যে নদীর জলে প্লাবিত ব্যাবসা সেই নদীর সেতুর ওপরেই  মাছ থেকে সবজি নিয়ে চলছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Rath-yatra-2024-cm-Mamata-Banerjee-pulls-chariot-at-iskcon-temple-kolkata
 
 জল নামতে শুরু করলেও শুরু হয়ে ছে ভাঙ্গন । তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বার কোদালি এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েত লাঙ্গল গ্রাম ও বেগার খাতা এলাকার মানুষ বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে । লাগাতার বৃষ্টির ফলে রায়ডাক নদীর জল বাড়ার হলে মাটির বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে পড়েছিল। তবে জল কমলে ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁশের খাচা দিয়ে ভাঙ্গন আটকানোর চেষ্টা করা হলেও নদী বাঁধ ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে । ইতিমধ্যে বাদ প্রায় ভেঙে গিয়েছে । দ্রুত বোল্ডার দিয়ে এই ভাঙ্গন না আটকালে গোটা বাঁধ নদী গর্ভে চলে যাবে । সেই ক্ষেত্রে নদীর জল গ্রামে ঢুকলে গোটা গ্রাম জলে প্লাবিত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে বহু মানুষের ঘরে এখনো জল রয়েছে তারা আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন স্থানীয় স্কুলে । সেখানেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সমস্ত রকমের রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।