SSC Scam: মেয়ে-জামাইয়ের নামেও কোটি টাকার ফ্ল্যাট! ফের ফাঁস 'কালীঘাটের কাকুর' রোমাঞ্চকর তথ্য

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই কুন্তল ঘোষকে 2012 সাল ও 2014 সালের 325 জন টেট পরীক্ষার্থীর চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু।

SSC Scam: মেয়ে-জামাইয়ের নামেও কোটি টাকার ফ্ল্যাট! ফের ফাঁস 'কালীঘাটের কাকুর' রোমাঞ্চকর তথ্য
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দিন যত যাচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মতো খুলছে কালীঘাটের কাকুর রহস্য! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে ফের প্রকাশ্যে আসল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! শুধু নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধিই নয়! নিজের মেয়ে-জামাইকেও আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন তিনি। ইডি আধিকারিকরা চার্জশিটে এই তথ্য উল্লেখ করেছেন। জানা গিয়েছে, লি-রোডে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে নিজের মেয়ে জামাইয়ের জন্য ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। 

সূত্রের খবর, নিজের মেয়ে-জামাইকে লি রোডে আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। SD কনসালট্যান্ট নামের যে কোম্পানিটি রয়েছে সেখানে কাকুর সরাসরি অংশীদারি রয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সেই কোম্পানি থেকেই ৯৫ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে লিপ্স অ্যান্ড bounds সংস্থাকে। কাকুর আরও এক বেনামী কোম্পানিকে 2018 সাল থেকে নগদে জমা হয়েছে 98 লাখ টাকার বেশি! এরকম একের পর এক বেআইনী লেনদেনের হদিশ মিলেছে।

ED-র দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই কুন্তল ঘোষকে 2012 সাল ও 2014 সালের 325 জন টেট পরীক্ষার্থীর চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। ইডির চার্জশিটে আরও দাবি, সেই সময় তিনি নিজে নিয়েছিলেন ৭০ লাখ টাকা। ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছিলেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যকে পাঠিয়েছিলেন ওই 325  জনের অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেই সেই সমস্ত তথ্য পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। 

অন্যদিকে, পাড়ায় বাড়ির সামনে স্টল সাজিয়ে এগরোল বিক্রি করতেন একজন। পাড়া সূত্রেই পরিচয় এবং তা এতটাই গভীর হয় যে এগরোল বিক্রেতাকেই কোম্পানির ডিরেক্টর বানিয়ে দেন তিনি। অন্তত এমনই তথ্য ইডি তার চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-তে নিজের বয়ানেই পরোক্ষে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতার' কথা স্বীকার 'কালীঘাটের কাকুর'।