এক নজরে সন্দেশখালি

সন্দেশখালির ঘটনায় উঠছে নিন্দার ঝড়

এক নজরে সন্দেশখালি

সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি। দুই ইডি অফিসারের মাথায় চোট লেগেছে , পাশাপাশি ছাড় পাননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। শুক্রবার সকালের এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির প্রশ্নের মুখে খোদ রাজ্যপাল 

রেশন দুর্নীতি নিয়ে এবারে রাজ্যে ছড়ালো সন্ত্রাসের আবহ। সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হলেন খোদ ইডি আধিকারিকরা। ছাড় পাননি তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানরাও। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে রক্তাক্ত অবস্থাতেই রাস্তা দিয়ে দৌড়ে পালতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটোয় করে পালাতে বাধ্য হন তাঁরা।আধিকারিকদের মোবাইল, ল্যাপটপ  ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। একে একে এই প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলেছেন নওশাদ সিদ্দিকী , অধীর রঞ্জন চৌধুরী সোহো তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীরা। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

সন্দেশখালিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে শাহকে চিঠি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে সন্দেশখালি নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সংবিধান রাজ্যপালকে ক্ষমতা দিয়েছে, জঙ্গলরাজ গুন্ডারাজ এখানে কায়েম করতে দেব না। হুঁশিয়ারির সুরে এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে, এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?’ তাঁর আরও প্রশ্ন, যদি তদন্তকারীরা মার খান, তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে ? পাশাপাশি সিবিআই আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন , ‘আপনারা কী করছেন ? আপনাদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না ?’এরপরেই এই ধরনের ক্ষেত্রে আরও বড় মাপের টিম তদন্ত অভিযানে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২জন ইডি আধিকারিক আক্রান্তের বিষয়ে বিচারপতি সরাসরি পরামর্শ দেন , ২ জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠান।’

প্রসঙ্গত সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সকাল থেকেই তপ্ত রাজ্য। দিকে দিকে উঠেছে নিন্দার ঝড়। কার মদতে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে রাজ্য ? কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে পুলিশ ? কিভাবে সাধারণ মানুষের ক্ষমতা হয় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ? উঠছে এইসব প্রশ্ন।