শপথগ্রহণ নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, বিধানসভায় অবস্থানে সায়ন্তিকা-রেয়াত

দুই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক আদৌ রাজভবনে যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃণমূল সূত্রের দাবি, দলের দুই নতুন বিধায়ককে রাজভবনের শপথ অনুষ্ঠানে 'না পাঠানো'র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শপথগ্রহণ নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত,  বিধানসভায় অবস্থানে সায়ন্তিকা-রেয়াত
বিধানসভায় অবস্থানে সদ্য জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন।।

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অব্যাহত রাজ্য বনাম রাজভবন সংঘাত। শপথের জটিলতার মধ্যে বিধানসভায় অবস্থানে বসলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন বরাহনগর ও ভগবানগোলা বিধানসভার দুই জয়ী প্রার্থী। জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শেষেই বিধানসভার সিঁড়িতে শপথের জন্য অবস্থানে বসলেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন বিধানসভায় শপথ নিতে চান। বুধবার, বিধানসভায় শপথের দাবিতে এবার অবস্থানে বসলেন উপনির্বাচনের দুই জয়ী প্রার্থী। শপথের দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড লেখা নিয়ে বিধানসভায় রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষা করছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন।

লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দুই কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। গত ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী রেয়াত হোসেন। কুড়ি দিন পেরলেও আজও তাদের শপথ গ্রহণ হয়নি। যা নিয়ে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই সরব হয়েছেন। তবে রাজভবন সূত্রের দাবি, 'আগামী ২৬ জুন বেলা ১২টায় রাজভবনে নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইতিমধ্যে ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।'

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Om-Birla-brings-nominated-as-the-Speaker-of-Lok-Sabha

কিন্তু দুই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক আদৌ রাজভবনে যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃণমূল সূত্রের দাবি, দলের দুই নতুন বিধায়ককে রাজভবনের শপথ অনুষ্ঠানে 'না পাঠানো'র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিধানসভার গরিমা এবং মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূল রাজ্যপালের সেই 'অপচেষ্টা' সফল হতে দেবে না। বিধানসভাকে এড়িয়ে এধরনের 'শপথ' অনুষ্ঠানে না যাওয়াই শ্রেয় মনে করছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Police-allegedly-accused-to-panchayat-Pradhan-for-on-blast-case

তবে সূত্রের দাবি তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থীই দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে। সাধারণত নিয়মিত অনুযায়ী, বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান হয় বিধানসভায়। মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পারিষদদের শপথ অনুষ্ঠান হয় রাজভবনে। ফলে এর নিয়মের বাইরে গিয়ে রাজ্যপাল নিজের মত কাজ করছেন বলে অভিযোগ শাসকদলের। যদিও এর আগে জলপাইরগুড়ির ধুপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় রাজভবনে এসেই শপথ গ্রহণ করেছিলেন। স্পিকার ছাড়াই রাজভবনে রাজ্যপাল তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এবারও সেই জটিলতা দেখা দেওয়ার শেষ পর্যন্ত শাসক দলেরই দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক আগামী ২৬ জুন বুধবার রাজভবনে গিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করবেন কিনা তা সময়ই বলবে।