বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মিলল তৃতীয় জঙ্গির হদিশ, ছক কষছিল বাংলাদেশ পালানোর

১২ মার্চ ধর্মতলার দু’টি হোটেলে পরপর দুদিন থেকেছিল তারা। মাঝের দু’দিন তারা কোথায় ছিল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে সূত্র মারফত খবর, কলকাতা থেকে পুরুলিয়া ও দার্জিলিং গিয়েছিল ধৃতেরা।

বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মিলল তৃতীয় জঙ্গির হদিশ,  ছক কষছিল বাংলাদেশ পালানোর
NIA ও রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ৩ জঙ্গি।।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মিলল তৃতীয় জঙ্গির খোঁজ। ধৃত মুজাম্মিল শরিফই তৃতীয় জঙ্গি বলেই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকেই চেন্নাই থেকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। এবার কলকাতার সঙ্গে যোগ মিলেছে তৃতীয় জঙ্গি মুজাম্মিল শরিফের। কলকাতার সঙ্গে যোগ মিলছে দুজন নয় তিন জন জঙ্গির। রামেশ্বরম ক্যাফের বিস্ফোরণের ঘটনায় যাকে চেন্নাই থেকে প্রথম গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। 

এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃত মাথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিবকে আত্মগোপনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিতেই এরাজ্যে এসেছিল মুজাম্মিল শরিফ। তারপরই গ্রেফতার হয় অভিযুক্তকে। সূত্রের খবর, মুজাম্মিল শরিফকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্ত দুজনের খোঁজ পায় এনআইএ। রাজ্য পুলিশ, কেরল পুলিশ, কর্ণাটক পুলিশ ও NIA-এর যৌথ অভিযানে নিউ দিঘা গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত বাকি দুই জঙ্গি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ১০ মার্চ এ রাজ্যে এসেছিল শাজিব ও ত্বহা। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/National-Election-commission-take-special-initiative-for-upcoming-poll-days

১২ মার্চ ধর্মতলার দু’টি হোটেলে পরপর দুদিন থেকেছিল তারা। মাঝের দু’দিন তারা কোথায় ছিল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে সূত্র মারফত খবর, কলকাতা থেকে পুরুলিয়া ও দার্জিলিং গিয়েছিল ধৃতেরা। এরপর গত ২১ মার্চ ফের কলকাতায় ফিরে এসে খিদিরপুর ও একবালপুরের দুটি হোটেলে আত্মগোপন করে ছিল বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Income-tax-official-searches-TMC-MP-Abhishek-banerjees-Chopper

এর মাঝে ২৪ মার্চ, এক দিনের জন্য তারা বেপাত্তা ছিল বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, ত্বহা ও শাজিব, দু’জনেই আইএস-এর ‘আল হিন্দ’ মডিউলের সদস্য। সন্দেহ করা হচ্ছে, সীমান্ত টপকে বাংলাদেশ পালানোর ছক ছিল ধৃত দুজনের। এখানে কে তাদের পালাতে সাহায্য করছিল? সেই বিষয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে। ওই মডিউলের এখানে কোনও গোপন গোষ্ঠী কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।