সহবাসের করে বেপাত্তা প্রেমিক! বিয়ের দাবিতে ধর্নায় যুবতী

গত তিন বছর আগে ওই যুবতী নানার বাড়ি ঘুরতে আসলে বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ মজিফুলের ছেলে ইব্রাহিম আলি তার প্রেমে পড়ে।

সহবাসের করে বেপাত্তা প্রেমিক! বিয়ের দাবিতে ধর্নায় যুবতী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: নববধূর সাজসজ্জা নিয়ে সটান উত্তরপ্রদেশ থেকে ছুটে এসে ধর্নায় বসলেন এক যুবতী। বিয়ের দাবি জানিয়ে হবু স্বামীর বাড়ির দরজায় ধর্নায় বসেছেন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দিয়েছেন গুণধর প্রেমিক। 

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে। এদিন সকাল থেকেই ওই যুবতী ধর্নায় বসে রয়েছেন বলে খবর জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলার বিচপরী মান্ডিয়া এলাকায়। তার নানার বাড়ি রয়েছে বাংরুয়া গ্রামে।

গত তিন বছর আগে ওই যুবতী নানার বাড়ি ঘুরতে আসলে বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ মজিফুলের ছেলে ইব্রাহিম আলি তার প্রেমে পড়ে। শুরু হয় আলাপ, সেই আলাপ ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। দু' জনের সম্মতিতেই সহবাসও করেন তাঁরা। কিন্তু এতকিছুর পরেও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক! অগত্যা বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে পড়লেন প্রেমিকা।

 যুবতী জানান, ইব্রাহিমের সঙ্গে তার দীর্ঘ তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া,থাকা,ঘুরতে যাওয়া সবই চলছিল। এমনকি দিল্লির এক হোটেল এক সঙ্গে ১৫ দিন রাত কাটিয়েছেন। একাধিকবার দু’জনে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন বলে জানান ওই যুবতী। কিন্তু তাল কাটে ইব্রাহিমের কথাতেই। 

যুবতীর দাবি, তার কাছ থেকে দফায় দফায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে সে। সেই টাকা বাড়িতে পাঠিয়েছে। বিয়ে করতে বললেই নানা কারণে এড়িয়ে যেত ইব্রাহিম। বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় দিল্লিতে। সেখানে এক হোটেলে ১৫ দিন রাত কাটানোর পর সেখান থেকে আজমীর শরীফে নিয়ে যায়। তাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করতো ইব্রাহীম। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর তাঁকে একা রেখে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে ইব্রাহিম। 

এদিকে বিয়ের কথা শুনে এখন বেঁকে বসেছে যুবক। বিয়ে করতে অস্বীকার করছে সে। তাঁর আরও দাবি, তারা দুজনে একসঙ্গে নববধূর সাজসজ্জা কিনেছেন। তার কাছে একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছেলের পরিবার সবকিছুই জানেন। এখন সবাই অস্বীকার করছেন। যুবকের মা হেনা বিবি জানান, তাদের প্রেমের সম্পর্ক সে কিছুই জানে না। ছেলে বাড়িতে আসেনি। সে কোথায় আছে তিনি জানেন না।