'বেলাইনে চলবেন না', ৪ বিধায়কের শপথের পর রাজ্যপাল বোসকে কড়া আক্রমণ মমতার

মঙ্গলবার চার তৃণমূল বিধায়কের শপথে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ''লাইনে চলুন বেলাইনে চলবেন না। রাজ্যপালকে কড়া আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ।

'বেলাইনে চলবেন না', ৪ বিধায়কের শপথের পর রাজ্যপাল বোসকে কড়া আক্রমণ মমতার
ফাইল চিত্র।।

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নানা টালবাহানার পর অবশেষে মিটল জট। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং অধ্যক্ষের কাছে শপথ নিলেন বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী চার তৃণমূল বিধায়ক। মঙ্গলবার শপথ নিলেন বাগদা উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্না ঠাকুর। মঙ্গলবার বিধানসভায় শপথ গ্রহনের আগে সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ককে নিয়ে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতন। মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিরা উচ্ছ্বসিত তাঁকে নিয়ে। পায়ে হেঁটে বিধানসভায় আসেন, গলায় ছিল স্লোগান। তবে শুধু মধুপর্নায় নয়, আজ বিধানসভায় একসঙ্গে চার জয়ী প্রার্থীর শপথ গ্রহণ করলেন। শপথ নিয়েছেন রায়গঞ্জের জয়ী প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। রানাঘাট দক্ষিণের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী ও মানিকতলার সুপ্তি পাণ্ডে। আজ বেলা ১'টায় শপথ নেন এই চার জয়ী প্রার্থী। 

মঙ্গলবার চার তৃণমূল বিধায়কের শপথে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ''লাইনে চলুন বেলাইনে চলবেন না। রাজ্যপালকে কড়া আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । ৫০০ টাকা কী করবেন? জলপানের জন্য লাগলে আমি দিয়ে দেব।'' সায়ন্তিকা, রেয়াতের জরিমানা নিয়ে রাজ্যপালকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি আরও বলেন, ''লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের পর আমরা নতুনভাবে মিলিত হয়েছি। মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই, জনগনের জয়, মানুষের জয়। সমস্ত ভোটদাতাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশে অনেক চক্রান্ত করেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বাংলায় আমাদের কোনও জোট হয়নি। তবে সারাদেশের ফলাফলে এনডিএ ৪৬% ভোট পেয়েছে, আর ইন্ডিয়া জোট ৫১% শতাংশ। সংখ্যা গরিষ্ঠ জনাদেশ এই সরকার পায়নি।''

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Finance-Minister-announces-special-financial-support-to-Andhra-Pradesh-Rs-15000-cr-allocated-for-Capital

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/World-Cupper-Jamie-Maclaren-signs-for-Mohun-Bagan-Super-Giants

বিধায়কের শপথ গ্রহণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন,  ''মাননীয় অধ্যক্ষ আপনি বিধানসভার নিয়ম মেনেই শপথ করিয়েছেন। রাজ্যপাল যা বলেছেন, আমি স্পিকারের সঙ্গে একমত। রাজভবন মনোনীত, বিধানসভা নির্বাচিত। কী আশ্চর্য, যারা আসল খুনি,ডাকাত তাদের পেনাল্টি হয় না, যারা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এলেন তাদের পেনাল্টি হচ্ছে। হঠাৎ করে নতুন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বেলাইনে চললে হবে না। আপনারা বিরুদ্ধে কে পেনাল্টি করবে? মানুষ, সংবিধান। আপনার কী জলপানের ব্যাপার আছে?  আমি তাঁর ব্যবস্থা করে দিতে পারি। কী শিখছে নতুন সদস্যরা? তাদের স্বপ্নটাকে খুঁচিয়ে দেওয়া হল। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। অধ্যক্ষ আপনার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে চলব, হাউজে অধ্যক্ষই শেষ কথা। রাজ্যপাল আপনি বিধানসভায় আসতে পারেন তো। রাজভবন থেকে ক'পা বিধানসভা? দিল্লিতে বসে না থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা,বিধানসভা ছুঁয়ে যা। এবার চারজনকে শপথের জন্য তো চিঠি লিখেছিলেন, আসলে এটা এই চারজনকেও বঞ্চনা করা। একনায়কতন্ত্র দেখলো বাংলা। আমরা বিবেকবান হতে চাই, আবেগবান হতে চাই, তাহলেই হবে।''