কর্মজীবনের শেষ দিনে বাড়ল মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর চাকরির মেয়াদ, অখুশি BJP

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের তরফ থেকে চিঠি এসে পৌঁছয় রাজ্যে। শেষমেষ জল্পনার অবসান হয়। রাজ্য প্রশাসনও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।

কর্মজীবনের শেষ দিনে বাড়ল মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর চাকরির মেয়াদ, অখুশি BJP
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্যের আর্জিতে সায় দিল কেন্দ্র। বাড়ল রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর চাকরির মেয়াদ। বাংলার মুখ্য সচিব হিসেবে আরও ৬ মাস বাড়ল হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ। সূত্রের খবর, আজ ৩০ জুন অবসর নেয়ার কথা ছিল বর্তমান মুখ্যসচিবের। গত মার্চ মাসেই রাজ্যের তরফ থেকে তার মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাত পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। কয়েকদিন আগেই পঞ্জাবের মুখ্য সচিবের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তাই জল্পনা চলছিল কেন্দ্র রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেবে  কিনা? নাকি নতুন মুখ্য সচিব হিসেবে রাজ্য অন্য কাউকে বেছে নেবে। 

এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে কেন্দ্রের তরফ থেকে চিঠি এসে পৌঁছয় রাজ্যে। শেষমেষ জল্পনার অবসান হয়। রাজ্য প্রশাসনও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেখানে পঞ্জাবের মুখ্য সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন ফিরিয়ে দিল কেন্দ্র সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবের মেয়াদ কেন বাড়ানো হল? প্রশাসনের একাংশ বলছেন, রাজ্য কেন্দ্রের বিবাদের মধ্যেই রাজ্যকে একটি ইতিবাচক বার্তা দিল কেন্দ্র। আবার অনেকেই বলছেন যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ছয় মাসের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করল। তবে সে যাই হোক যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের আবেদন মেনে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ছ'মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

বিশেষ করে এই মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপি তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই যুযুধান পরিস্থিতির মধ্যেই মুখ্য সচিবের মেয়াদ বৃদ্ধি করে কি বার্তা কেন্দ্রীয় সরকার দিতে চাইল তা ভবিষ্যৎই বলবে। তবে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলেও আদৌ কি রাজ্য বিজেপি এই সিদ্ধান্তে খুশি? এখনও পর্যন্ত বিজেপির নেতারা এই নিয়ে মুখ খোলেননি।