স্বাধীনতার ৭৭ তম বছর: ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয়ে যেভাবে ভারতের হাতে এল 'তেরঙ্গা'

তৎকালীন ইংরেজ শাসক লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন।

স্বাধীনতার ৭৭ তম বছর:  ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হয়ে যেভাবে ভারতের হাতে এল 'তেরঙ্গা'
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আজ ১৫ অগাস্ট ২০২৩। স্বাধীনতার ৭৭তম বছর। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে চলছে স্বাধীনতা দিবস পালনের সমারোহ। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। সেদিন ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা হয়েছিল বলেই আজ আমরা সগর্বে বলতে পারি, আমরা ভারতীয়। স্বাধীন ভারতের নাগরিক। কিন্তু এই লড়াই মোটেও সহজ ছিল না। অনেক কষ্টের চড়াই উতরাই পার করে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। যারা আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যাদের জন্য আমরা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি সেই সমস্ত বীর মহা সংগ্রামীদের আজকে আমরা Tribe TV-র পক্ষ থেকে শশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস ঘাটলে যে সমস্ত বীর সংগ্রামীদের নাম সবার আগে আসে তাঁরা হল, গান্ধীজী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগৎ সিংহ, ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাই, মাতঙ্গিনী হাজরার, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জহর লাল নেহরু থেকে শুরু করে বাবাসাহেব আম্বেদকর, ক্ষুদিরাম। এছাড়াও রয়েছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সংঘবন্ধ লড়াই। যা এনে দিয়েছে ভারতের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনটা হল সেই সমস্ত মহান বীরদের স্বরণ করার দিন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহর লাল নেহরু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই থেকেই ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।

এদিন  "তেরঙা" পতাকা স্কুল, কলেজ, যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী দফতর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে বাড়িতে, হাতে হাতে এই দিনে জাতীয় পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এই পতাকার আসল অর্থ ও ব্যবহার জানতে হবে। এই পতাকা যেন আমাদের মনের, হৃদয়ের পতাকা হয়। উপরে গেরুয়া রঙ নিচে সবুজ মাঝে সাদা এবং সবার মাঝে অশোক চক্র - এই নিয়েই আমাদের জাতীয় পতাকা। প্রত্যেকটি রঙের এক একটি অর্থ আছে৷ ইতিহাসের পাতায় 1946 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময় কালে ব্রিটিশ শাসনের অর্থব্যাবস্থা ভেঙে পরে।

অন্য দিকে আমাদের বীর সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বোস। স্বাধীনতা জন্য লড়াই করে যাচ্ছে সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে, এবারে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের শুরুর দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসে ভারতীয়দের দেশে শাসনের ভার হস্তান্তর করবে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ঝামেলা, অশান্তি। ব্রিটিশ সরকার তা সামলাতে পারেনি।

এরপর তৎকালীন ইংরেজ শাসক লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। পাকিস্তান ও ভারত দুইটি স্বাধীনতা দেশে বিভক্ত হয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জহরলাল নেহরু। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। রচিত হয় ভারতীয় সংবিধান। তাই, ভারতকে জানত হলে একদিকে যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের জানতে হবে। তেমনই জানতে হবে সংবিধান। অন্যদিকে জানতে হবে ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে। ভারত আমাদের মাতা, আমরা ভারত মাতার সন্তান। মায়ের মতোই আমরা ভারতকে ভালোবাসবো ও এগিয়ে যাবো।  ট্রাইব টিভির পক্ষ থেকে ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বীর শহীদদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধার্ঘ্য আর প্রতিটি ভারতবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।