সরকারি গাছ বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ

অভিযোগ পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

সরকারি গাছ বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ

পৌরসভার সরকারি জায়গার গাছ বেআইনিভাবে কেটে বিক্রির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । ঘটনায় শোরগোল। পাল্টা চেয়ারম্যানের অভিযোগ তিনি গাছ কাটেননি, গাছ কেটেছে গ্রামের এই মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনা পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মিত্রসেনপুর এলাকার ঘটনা। 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনা পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মিত্রসেনপুর এলাকায় একটি সরকারি খাস জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি বহু পুরানো প্রকাণ্ড গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। 
মিত্রসেনপুর গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সরকারি খাস জায়গায় থাকা গাছ গুলি গ্রামবাসীরা রক্ষণাবেক্ষণ করে রেখেছিল। সেই গাছগুলি গ্রামের মানুষকে না জানিয়ে কেটে  বিক্রি করে দিয়েছে চেয়ারম্যান। এই নিয়ে তারা পৌরসভার অন্যান্য কাউন্সিলরদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন। 

খবর পেয়ে এলাকায় পরিদর্শনে যান বেশ কয়েকজন পৌর কাউন্সিলর ও দুই নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি, সকলের দাবি তারা জানেনা গাছ কাটার বিষয়। এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে কাউন্সিলরদেরও চক্ষু চড়ক গাছ, তাদের দাবি পৌরসভায়  গাছ কাটা হচ্ছে তারা জানেই না, এক কথায় গাছ কাটার ক্ষেত্রে যে পৌর নিয়ম  রয়েছে সেই নিয়ম মানেনি পৌরসভার চেয়ারম্যান। 

তবে যাই হোক সরকারি জায়গায় পৌরসভার এই ধরনের গাছ কাটা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। ওই এলাকায় গ্রামের বেশ কিছু  মানুষদের মধ্যো দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। তবে এই বিষয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রের দাবি, ওই গ্রামের কিছু মানুষ তাকে লিখিত আবেদন জানিয়েছিল গাছগুলি গ্রাম উন্নয়নের জন্য কেটে তারা বিক্রি করতে চায়। সেই আবেদন পত্র পেয়ে তিনি অনুমতি দিয়েছিলেন গাছগুলি কাটার।  এই বিষয়ে চক্রান্ত করছে কয়েকজন কাউন্সিলর, তার ছেলে গাছ কাটার সাথে জড়িত নয়।

তবে গ্রামের কয়েকজন মানুষ চেয়ারম্যানের স্বপক্ষেই কথা বললেও।  এলাকার বেশির ভাগ মানুষ ও বিরোধী কিছুই জানেনা বলে অভিযোগ, তাদের দাবি আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গাছগুলি চুরি করা হয়েছে। তবে যাই হোক প্রশাসনিক কোন অনুমতি ছাড়া চন্দ্রকোনা পৌর এলাকায় একাধিক জায়গায় গাছ কেটে ও পুকুর বেআইনিভাবে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে এমনই অভিযোগ বিরোধীদের । ঘটনায় কিছুটা হলে অস্বস্তিতে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভা।