সুপ্রিম কোর্টে 'ইনসাফ' বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলেই, সাফ জানাল শীর্ষ আদালত

বিলকিস বানো গণধর্ষন মামলায় দোষীদের ফের ফিরে যেতে হবে জেলে। সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। বিস্তারিত জানুন...

সুপ্রিম কোর্টে 'ইনসাফ' বিলকিস বানোর  ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলেই, সাফ জানাল শীর্ষ আদালত
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  নতুন বছরের শুরুতেই ইনসাফ বিলকিসের। বিলকিস বানো গণধর্ষন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা গুজরাট সরকারের। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গুজরাট সরকার ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ১১ জন দোষীর যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ রদ করে তাদের মুক্তি দেয়। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্র ও গুজরাট সরকারের। সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল ১১ জনের মুক্তির সিদ্ধান্ত। 

তথ্য লুকিয়ে ধাপ্পাবাজির অভিযোগ গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিলকিস বানো গণধর্ষন মামলায় দোষীদের ফের ফিরে যেতে হবে জেলে। সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির শুরুতেই শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ধর্ষকদের সাজা মকুব করার কোনও আইনি এক্তিয়ার নেই গুজরাট সরকারের। যারফলে গণধর্ষনে অভিযুক্ত ১১ জনকে ফের ফিরতে হচ্ছে জেলে। 
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১১ জন ধর্ষককে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাট সরকার, তা এক্তিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাট সরকারের। যেহেতু মামলার শুনানি মহারাষ্ট্রে হয়েছে, তাই মহারাষ্ট্র সরকারই পারে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে।

২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি শাসিত গুজরাট সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছিল। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রও মেলে। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অপরাধীদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।