পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল, অথৈ জলে ৪ হাজার শ্রমিক

গত দু'বছর করোনার কারণে কারখানা বন্ধ থাকার পর খুলেছিল গোন্দলপড়া জুটমিল। ছ'মাস ধরে কয়েক জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিল।

পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল, অথৈ জলে ৪ হাজার শ্রমিক

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সামনেই পুজো। তার আগেই কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। অথৈ জলে চন্দননগরের গোন্দল পাড়া জুটমিলের শ্রমিকরা। 

জানা গিয়েছে, গত দু'বছর করোনার কারণে কারখানা বন্ধ থাকার পর খুলেছিল গোন্দলপড়া জুটমিল। ছ'মাস ধরে কয়েক জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিল। সোমবার মালিকপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় বৃষ্টির অভাবে পাটের যোগান কম ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কারখানা শ্রমিকরা। কারখানা খোলার দাবিতে বাম শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে চন্দননগরের উপশ্রম দফতরে বিভিন্ন পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

 এদিকে কারখানা বন্ধ থাকার ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে শ্রমিকদের। শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনারও সমস্যাও দেখা দিয়েছে। অনেকেই অন্য কাজে যোগ দিয়েছেন। শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে কারখানা চালু করতে হবে। মালিক পক্ষ সঞ্জয় কাজোরিয়া শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন বলে অভিযোগ করেন। 

বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতা হীরালাল সিংহ বলেন, ''দু'বছর বন্ধ থাকার পর মিল চালু হয়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মিল চালু হলেও মেনটেনেন্স এর কাজ করছে কয়েকটা শ্রমিক। যদিও মিল সম্পূর্ণ বন্ধই রয়েছে।''

 মালিকপক্ষ সঞ্জয় কাজোরিয়া চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, জমি তার নামে হয়নি। ''বৃষ্টি না হওয়ার ফলে পাটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এই অজুহাতে মিল বন্ধ করে দিয়েছে। ন'টা ইউনিয়ন মিলে গোন্দলপাড়া জুট মিলে গেটের সামনে বিক্ষোভ সভা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী সঞ্জয় কাজোরিয়া। সঞ্জয় কাজোরিয়া তিনি মিল খুলবেন না, এটা আমরা জানি।'' 
 
মঙ্গলবার থেকে পুরসভা, DLC ও কারখানার গেটে শ্রমিক সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখাবে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা চন্দন বর্মন জানান, সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মেটানো। যাতে কারখানা চালু করা যায়। সরকার সব রকম সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। সঞ্জয় কাজরিয়ার নিজের নামে কারখানার জমি হয়নি, সেই কারণে ব্যাংক থেকে লোন পাচ্ছেন না। তাই এই কারণেই কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।

 সিপিএমের দাবিকে মানতে নারাজ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবি, ''বামেরা শিল্পকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের আমলেই এই মিলগুলি তৈরি হয়েছিল। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। এখন আমাদের ওপরে দোষ চাপালে হবে না। তারা করে দিয়ে গিয়েছে আর এখন বইতে হচ্ছে আমাদের।''