মানিক জেলে! টেটে ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছাড়াল ৭ লাখ

প্রাথমিক টেটে এবার রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী। আবেদনকারীদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৯০ হাজার।

মানিক জেলে! টেটে ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছাড়াল ৭ লাখ


ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রাথমিক টেটে এবার রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী। আবেদনকারীদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৯০ হাজার। আগেরবারের তুলনায় তিনগুণ বেশি। অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে যদি কোনও ভুল হয়ে যায়, আবেদনকারীদের জন্য ফর্মে এডিট অপশনটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফর্মে ভুল থাকলে, ৫ নভেম্বর দুপুর ২ টো থেকে ৬ নভেম্বর রাত ১২ টার মধ্যে তা ঠিক করে নেওয়া যাবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।  

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিনি যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন  ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! শুধু তাই নয়, ধৃতের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ৪৪ জনের কাছ  থেকে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য। পর্ষদের সভাপতি এখন গৌতম পাল। দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, 'এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ে টেট হবে। মেরিট লিস্ট বেরোবে। কোনও অভিযোগ থাকবে না'। বস্তুত, প্রথম বৈঠকেই এবছর নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য টেট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পর্ষদ কমিটি সদস্যরা। এ বছর প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা হবে ১১ ডিসেম্বর। পর্ষদ সূত্রে খবর, এর আগে যতবারই টেট নেওয়া হয়েছে, প্রতিবারই ফর্মে তথ্যগত ভুলের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর আবেদন বাতিল করতে হয়েছে। 

এর আগে, দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দিনে যাঁরা টেটে পাস করেছেন, তাঁদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নীচে। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। এমনকী, যাঁরা ২০১৪ সালের পর ২০১৭-তেও টেটে বসেছিলেন, তাঁদের নম্বরও প্রকাশ করবে পর্ষদ। 'প্রাথমিকে নিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াব না', আশ্বাস দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।