BJP নেতার রহস্য মৃত্যু, পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ। পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। তদন্তভার অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দেওয়ার কথা বললেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ মার্চ।

BJP নেতার রহস্য মৃত্যু, পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। তদন্তভার অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দেওয়ার কথা বললেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ মার্চ। মামলাকারীকে যাবতীয় অভিযোগ হলফনামা আকারে আদালতের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Justice-Abhijeet-Ganguly-apologize-for-his-behavior-to-ag-kishore-dutta-at-calcutta-high-court

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 PGS) বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। নির্বাচনের পর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার ও বিজেপির (BJP) তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূল কর্মীদের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। যদিও হাসপাতালের তরফে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বলা হয়, লিভারজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথের। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবার।
 
মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে পুলিশকে রীতিমত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এমনকি, এই তদন্তভার প্রয়োজনে অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, 'একজন চিকিৎসকের ১৬১ ধারায় পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে। কিন্তু সেই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মামলাকারীর। মামলাকারীর বক্তব্য, বয়ান গ্রহণের সময় কোনও ভিডিওগ্ৰাফি করা হয়নি। কেন করা হয়নি তা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারী অফিসার, ডিএসপিকে স্বচ্ছ ভাবে ভরসাযোগ্য তদন্ত করতে হবে। মামলাকারীদের প্রশ্নে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে, তাই পুলিশ স্বচ্ছভাবে, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দেবে। না হলে অন্য এজেন্সিকে তদন্তের দায়িত্ব দেবে আদালত।'

মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, চিকিৎসক থেকে সাক্ষী সবাইকে পুলিশ বলপূর্বক নিজের মতো করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে। তাই কোনও ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি। একই কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। উল্টে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে কোনও কারণ ছাড়াই নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। রাজ্যের তরফে অবশ্য বলা হয়, আদালতের নির্দেশ মতো পুলিশ সব তদন্ত করছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে একজনের মৃত্যুকে রাজনীতির মোড়ক দিতে গিয়ে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।