লিপস অ্যান্ড বাউন্সের আরও সম্পত্তির হদিশ, ইডিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

লিপস অ্যান্ড বাউন্সের আরও নতুন সম্পত্তির খোঁজ। যা নিয়ে নতুন করে তদন্তে নেমেছে ইডি। আগামী ১২ মার্চ তদন্তকারি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রাথমিকে নিয়োগে ৯৪ জনের বেআইনি চাকরির বাতিল নিয়েও প্রাথমিক বোর্ডকেও খোঁচা বিচারপতি সিনহার। আগামী ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। 

লিপস অ্যান্ড বাউন্সের আরও সম্পত্তির হদিশ, ইডিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: লিপস অ্যান্ড বাউন্সের  (Lips and Bounce) আরও নতুন সম্পত্তির খোঁজ। যা নিয়ে নতুন করে তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনার এজলাসে এমনই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। আগামী ১২ মার্চ তদন্তকারি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের যুক্তির স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য ও নথি আদালতে পেশ করতে নির্দেশ মামলাকারির আইনজীবীদেরও। প্রাথমিক নিয়োগে ৯৪ জনের বেআইনি চাকরির বাতিল নিয়েও প্রাথমিক বোর্ডকেও খোঁচা বিচারপতি সিনহার। আগামী ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। 

মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনার এজলাসের লিপস অ্যান্ড বাউন্স এবং প্রাথমিককে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি হয়। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডি ও সিবিআই এর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসা করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার তদন্ত কতদূর এগোলো। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আইনজীবী জানান লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার আরও বেশ কিছু নতুন সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তারা তদন্ত করছে। এই শুনে বিচারপতি সিনহা কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার ওপর যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেন। সিবিআই ও ইডির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এইভাবে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চললে অভিযুক্তরা মূল বিচার প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যাবে।

পাশাপাশি, এদিন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিআইনিভাবে যে ৯৪ জন চাকরি পেয়েছিল সেই নিয়ে মামলাকারি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী, পর্ষদের আইনজীবী ও অভিযুক্তদের আইনজীবির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। মামলাকারি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীদের দাবি বেআইনিভাবে চাকরির জন্য যে ৯৪ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাদের জায়গায় মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রথম ৯৪ জন চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হোক।

মামলাকারীদের এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন পর্ষদ আইনজীবী। পর্ষদের বক্তব্য, যে প্যানেল এক্সপায়ার অর্থাৎ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, সেখানে নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যে ৯৪ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে সেই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৯৪ জনের বেআইনিভাবে চাকরি হয়েছিল। তাদের নিয়োগ ইতিমধ্যেই পর্ষদ বাতিল করেছে। ওই ৯৪ জন টেট পাস করেনি। প্যানেলের বাইরে থেকে তাদের চাকরি হয়েছিল। তাই ২০১৬র ওয়েটিং লিস্ট থেকে সেই শূন্যপদ পূরণ করা যায় না। 

তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা পর্ষদকে রীতিমতো খোঁচা দিয়ে বলেন, আপনারা অপরাধ করবেন, সেই অপরাধ স্বীকারও করবেন আবার নিজেদের বক্তব্যে দৃঢ় থাকবেন এটা হতে পারে না। সবপক্ষের বক্তব্য শুনে, বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলাকারি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীকে সমস্ত তথ্য ও নথি হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি লিপস অ্যান্ড বাউন্স এর মামলায় ইডি ও সিবিআই যে নতুন সম্পত্তি ও নথি-তথ্য পেয়েছে, তার তদন্ত রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ মার্চ।