উমার আগমণের একমাস বাকি, বাড়ছে শোলার গয়নার চাহিদা

প্রতিমাকে অলঙ্কারে সুসজ্জিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শোলার অলঙ্কারের অর্ডার এলেও অন্যবারের তুলনায় যথেষ্ট কম। তবে সেই অর্ডার গুলোই সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতেই এখন দিনরাত এক করে ফেলেছেন কারিগররা।

উমার আগমণের একমাস বাকি, বাড়ছে শোলার গয়নার চাহিদা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বেজে গিয়েছে আগমণির ঘন্টা। বাঙালির মনে তাই আনন্দের উচ্ছ্বাস। শুধুমাত্র প্রতিমা নির্মাণ মণ্ডপসজ্জা নয়, শারদীয়ার অন্যতম আকর্ষণ দেবীর অলঙ্কার। পুজো আসলে তাঁদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। শোলার সাজে দেবী মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন। সেই শোলার উৎপাদনেই ভাটা পড়েছে বিগত কয়েক বছর ধরে। এরফলে শোলার জিনিসপত্র তৈরি করতে এক দিকে যেমন খরচ বেড়েছে সেই অনুপাতে বাড়েনি শিল্পীদের তৈরি করা জিনিসপত্রের দাম।

প্রতিমাকে অলঙ্কারে সুসজ্জিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শোলার অলঙ্কারের অর্ডার এলেও অন্যবারের তুলনায় যথেষ্ট কম। তবে সেই অর্ডার গুলোই সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতেই এখন দিনরাত এক করে ফেলেছেন কারিগররা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের আর্য সমিতি এলাকায় শোলা শিল্পী দিলীপ মালাকার এবং তার সহকারীরা মিলে এখন তাই দিনরাত এক করে মায়ের মূর্তি সাজাতে কাজ করে চলেছেন। বছরের পর বছর প্রায় ৫০ বছর ধরে তাঁদের হাতের জাদুতে তৈরি হওয়া শোলার অলঙ্কার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। তাঁদের হাতের কাজে মুগ্ধ হয়ে পুজো উদ্যোক্তারা বারবার ফিরে আসে তাদের কাছে মায়ের সরঞ্জাম নিতে। কাজ করে মনে আনন্দ পাওয়া যায়, তাই কাজের লভ্যাংশ না দেখেই পুজো আসতেই এখন কার্যত নাওয়া খাওয়ার সময় নেই।

প্রতিমার মুকুট, গহনা, পোশাক থেকে ফুলঘর, কানের কলকা, আঁচল, হাতের বালা, পায়ের নুপুর চাঁদমালা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র অর্ডার নিয়ে তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা দিয়ে সেজে উঠবে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী সরস্বতী। হাতে সময় কম থাকায় রাত দিন করে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। মূলত সারা বছর তেমন ভাবে কাজ করতে না পারলেও পুজোর কয়েকটা দিন প্রতিমার শোলার বিভিন্ন অলঙ্কার তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা।