Flat Scam: ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে নুসরতের পর ED স্ক্যানারে অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র

সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরসদের যে বৈঠক হয়েছিল সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এইভাবে ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে টাকা তোলা হবে।

Flat Scam: ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে নুসরতের পর ED স্ক্যানারে অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সময় যত গড়াচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মত ছাড়াচ্ছে দুর্নীতির জট। নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার ফ্ল্যাট দুর্নীতি (Flat Scam)। ED নজরে বসিরহাটের TMC সাংসদ নুসরত জাহান। তবে শুধু নুসরতই নয়, ইডি স্ক্যানারে আরও এক অভিনেত্রী। এবার অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করল ইডি।  

জানা গিয়েছে, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে'র ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। এমনটাই দাবি ইডি সূত্রে। আগেই ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে। এরপর মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও ওই কোম্পানির আরও এক ডিরেক্টরকে রাকেশ সিংকে সিজিও কমপ্লেক্স ইডি দফতরে তলব করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার CGO কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে তাঁদের। এরপর আজ ইডি সূত্র মারফত খবর কোম্পানির আরও এক ডিরেক্টর তথা অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র তলব করা হয়েছে। এর আগে এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা যে নথি সংগ্রহ করেছিলেন সেই নথিতে রুপলেখা মিত্রের নাম ছিল। জানা গিয়েছে, ওই কোম্পানির তিনজন ডিরেক্টর ছিলেন। তাঁরা হলেন রাকেশ সিং, নুসরত জাহান ও রুপলেখা মিত্র। আগামী সপ্তাহের ১১-১২ ও ১৩ তারিখে এই তিনজনকে তলব করা হয়েছে।  

সূত্রের খবর, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরসদের যে বৈঠক হয়েছিল সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এইভাবে ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে টাকা তোলা হবে। সেই নথিতে রূপলেখা মিত্রের সই রয়েছে। এই কোম্পানি ডিরেক্টরদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি আধিকারিকরা জানতে চাইছেন ফ্লাইট পেপার ইন নাম করেছে টাকা হল বাজার থেকে সেই টাকা নিয়ে তাদের কি বক্তব্য এবং এই টাকা তোলার পরিমাণ প্রায়, কুড়ি কোটি টাকা কোথায় গেল। বেনিফিশিয়ারী কারা ছিল।

ED আধিকারিকরা মনে করছেন, সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে যে এই টাকা একটি অ্যাকাউন্টে থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেখান থেকে আবারও এই টাকা অন্যান্য অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। এই টাকার লেনদেনকারী কে? তাকেই খুঁজে বার করতে চাইছেন ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা।  এই টাকা বিভিন্নভাবে নয় ছয় করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কোম্পানির বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তিরও হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই রূপলেখা মিত্রর রোল কি ছিল? তিনি যেহেতু ডিরেকক্টর ছিলেন তার ভূমিকা কি ছিল? তিনি কি কি কাজ করতেন, এই কোম্পানির বাকি ডাইরেক্টর রা কি কি কাজ করতো। প্রায় সাড়ে চারশ জন অভিযোগ করেছিল যে, তাঁদের থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা তোলা হচ্ছে। ইডি সূত্র মারফত খবর, এই ২০ কোটি টাকার মধ্যে ডিরেক্টররা বিভিন্ন মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। এবং তার মধ্যে মোটা অংকের টাকা নুসরত জাহানের কাছেও গিয়ে পৌঁছেছে। তাহলে কি এই রুপলেখা মিত্রের কাছেও টাকা রয়েছে। এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই এই রূপলেখা মিত্রকে তলব করা হয়েছে।