অথৈ জলে রাজ্যের সমুদ্রসাথী প্রকল্প, বেনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভে মৎস্যজীবীরা

প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন সামুদ্রিক মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই দু’‌মাস বিকল্প কোন কাজ না থাকায় সঙ্কটে থাকেন প্রান্তিক সামুদ্রিক মৎস্যজীবীরা। জানুন বিস্তারিত...

অথৈ জলে রাজ্যের সমুদ্রসাথী প্রকল্প,  বেনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভে মৎস্যজীবীরা
file image

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শেষ রাজ্য বাজেটে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের জন্য এপ্রিল ও মে, দু’‌মাসে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার টাকা ভাতা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। যে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘‌সমুদ্রসাথী’‌। এই প্রকল্পে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের তালিকা তৈরীতে বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগে সরব হল মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। এরই মধ্যে গত ১৫ জুনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ‘‌সমুদ্রসাথী’‌ পোর্টাল। ফলে আবেদন প্রক্রিয়াও পুরোপুরি বন্ধ। সবমিলিয়ে অথৈ জলে প্রকল্পটি।

এই টাকা এপ্রিল-মে মাসে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত একজনও সামুদ্রিক মৎস্যজীবী এই ভাতা পাননি। কবে মিলবে এই ভাতা?‌ সরকারি আধিকারিকরাও অন্ধকারে। হতাশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষাধিক সামুদ্রিক মৎস্যজীবী। প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন সামুদ্রিক মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই দু’‌মাস বিকল্প কোন কাজ না থাকায় সঙ্কটে থাকেন প্রান্তিক সামুদ্রিক মৎস্যজীবীরা। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/A-person-allegedly-dead-due-to-clash-of-Councillors-boy-in-Barrackpore

এই মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার ২ লক্ষের বেশী মৎস্যজীবীকে এই প্রকল্পে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই প্রকল্পের জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে মৎস্যজীবী কার্ড তৈরী করতে বলা হয়। মৎস্যজীবী সংঠনগুলির অভিযোগ, পঞ্চায়েতের দেওয়া মৎস্যজীবী শংসাপত্র নিয়ে এই কার্ড তৈরী করা হয়। ফলে বিস্তর বেনিয়ম ধরা পড়ে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হয়। রাজনৈতিকভাবে মৎস্যজীবী কার্ড দেওয়া হয়। স্বজনপোষণ করা হয়। 

সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের এই কার্ডেও ব্যাপক গরমিল প্রকাশ্যে এসেছে। অনেকের মিষ্টি বা নোনা জলের মৎস্যজীবী কার্ড এসেছে। কিন্তু এই কার্ড থাকলে এই প্রকল্পে আবেদনই করা যাবে না। দুয়ারে সরকার শিবির থেকে এই ভুল করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের।