West Midnapore News: ছাদ দূরঅস্ত, মাথার উপর নেই একফালি ত্রিপলের ছাউনি! অথৈ জলে ICDS কর্মীরা

পর্যাপ্ত সরকারি জমি থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশায় রয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। মাথার উপর কোনও ছাউনি না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্ধ রাখতে হয় অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্র।

West Midnapore News: ছাদ দূরঅস্ত, মাথার উপর নেই একফালি ত্রিপলের ছাউনি! অথৈ জলে ICDS কর্মীরা
ঘাটালের এই আইসিডিএস সেন্টারের বেহাল দশা (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: নেই মাথার ওপর ছাদ। অধিকাংশ মাটিই নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে। হাঁটু সমান ঘাসে ঢাকা জঙ্গলের মধ্যে শতছিন্ন একফালি ত্রিপল খাটিয়ে কোনও রকমে চলে ছোটো ছোটো শিশুদের খাবার রান্নার কাজ। কালেভদ্রে দেখা মেলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণির। শিশুদের পড়াশোনা লাটে উঠেছে বললে ভুল হবে না। আর এই বেহাল চিত্র কোনও গ্রামেগঞ্জের নয়, খোদ ঘাটাল শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিওরপাড়া ১৬০ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত সরকারি জমি থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশায় রয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। মাথার উপর কোনও ছাউনি না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্ধ রাখতে হয় অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্র। যারফলে সমস্যা হয় ছোটো ছোটো শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের খাবার রান্নার কাজ। পুরসভার বুকে আইসিডি সেন্টারের এমন বেহাল দশার কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কাজ হয়নি কিছুই। তিওরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঝুমা পাল বলেন, ''একে তো অঙ্গনওয়াড়ির বেহাল অবস্থা, মাথায় ছাউনি পর্যন্ত ঠিকমতো নেই। নদীর টানে চলে গিয়েছে অনেকটা জায়গা। তার উপর চারিদিকে বড় বড় ঘাসের জঙ্গল হয়ে গেছে। পৌরসভার কর্মীরা কখনও জঙ্গলটুকু পরিষ্কার করার প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেন না। ছোট ছোট বাচ্চাদের এখানে পাঠাতেও ভয় করে।''

 স্থানীয় বাসিন্দা শিবশঙ্কর ঈশ্বর,লতা পাল, রুনা মাঝিদের আরও অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামোর বেহাল দশা তো আছেই এরই পাশাপাশি আইসিডিএসের দিদিমণিও মাসের অধিকাংশ দিনই বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সেন্টারেই আসেন না। অস্থায়ী এক রাধুনীর ভরসায় কোনও রকমে চলে বাচ্চাদের রান্নার কাজ। খাবারের পরিমাণও অন্যান্য সেন্টারের থেকে কম। তাঁদের দাবি, পৌরসভার বুকেও কেন এমন বেহাল দশায় থাকবে শিশুদের পাঠশালা? প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হাল ফেরাতে।

অন্যদিকে, সেন্টারের রাঁধুনি অর্চনা মন্ডলের বক্তব্য, ''আমাদের সেন্টারের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। মাথার উপর ত্রিপলের ছাউনিটুকুও ঠিকমতো নেই। একাধিকবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে ছাউনির জন্য একটা ত্রিপল চেয়েছি কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। কতদিন আর এমন দুর্দশার মধ্যে দিয়ে কাজ চালানো যায়। বৃষ্টি হলেই রান্না বন্ধ রেখে সবাইকে বাড়ি ফেরাতে হয়। প্রতিদিন ৬৫জন বাচ্চার খাবার রান্না হয় এখানে। চারিদিকে জঙ্গলে ভর্তি, সব সময় ভয় লাগে খাবারে কিছু যদি পড়ে যায় তাহলে ভয়ংকর বিপদ ঘটতেই পারে।'' যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রভাতী জানা। তিনি বলেন, ''ওই সেন্টারের সমস্যা আছে জানি। তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ৫টিরও বেশি ত্রিপল দিয়েছি ওই সেন্টারের জন্য। আমার ক্ষমতা সীমিত তবে চেষ্টা করব প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়টি বারে বারে তুলে ধরার।''