River Erosion: প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে নদী, বাঁধ আগলে রেখেছেন গ্রামবাসীরা

নদীর ঢেউয়ে বাঁধের আরও বেহাল অবস্থা। তার উপর চলতি বর্ষার মরশুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এদিকে সামনে পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ভরা কোটাল রয়েছে।

River Erosion:  প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে নদী, বাঁধ আগলে রেখেছেন গ্রামবাসীরা
নিজস্ব চিত্র ।।

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু নদী বাঁধ থাকে যেই কে সেই! একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে South 24 Parganas-র নামখানার বেলতলা এলাকায় নদী বাঁধের বেহাল দশা। জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে নদীবাঁধ পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা।  কবে ঠিক হবে নদী বাঁধ? এখন এই প্রশ্নই তুলছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা৷ আর এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ 

কথায় বলে "নদীর ধারে বাস ভাবনা বারো মাস"। আর এই ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্য দিয়ে ভুগছে নামখানার বেলতলা এলাকার গ্রামবাসীরা। বর্ষাকালে কোটাল পড়লেই গ্রামবাসীদের ঘুম ছুটে যায়। তখন শুধু তাঁদের একটায় চিন্তা, এই বুঝি নদী বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হবে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে , জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে নদীবাঁধ পাহারা দেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার দ্বাদশীর কোটাল আর দুপুরে গ্রামবাসী মহিলা পুরুষ সবাই নদীর বাঁধে, কারণ বর্তমানে সরু বাঁধের জরাজীর্ণ অবস্থা, এমনকি জাহাজ চলছে ধার ঘেঁষে, ফলেই তার ঢেউয়ে আরও ভাঙছে নদী বাঁধ। বারবার প্রশাসনকে জানিও কোনও কাজ হয়নি অভিযোগ এলাকাবাসীর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বর্ষা পড়লে নদী বাঁধের কাজ শুরু হয়। তারপরে প্রস্তুতকারী সংস্থা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও  কোনও কাজ হচ্ছে না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই জোয়ার হলেই এলাকাবাসীদের নদী বাঁধে আসতে হয়। মনে আতঙ্ক বাসা বাঁধে, এই বুঝি বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হবে। 

শুধু তাই নয়, নদীর ঢেউয়ে বাঁধের আরও বেহাল অবস্থা। তার উপর চলতি বর্ষার মরশুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এদিকে সামনে পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ভরা কোটাল রয়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে দিন কাটবে? সেই ভেবেই এখন থেকেই আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের মানুষজনরা। যদিও এলাকা পরিদর্শন করে অতি দ্রুত নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস। বিগত দিনে বহু নেতা-মন্ত্রী অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু আজও সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ। এখন নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কথা দিয়েছেন কাজ হবে , তিনি কি কথা রাখবেন ? নাকি আতঙ্কের মধ্য দিয়েই দিন কাটাতে হবে গ্রামবাসীদের , সেটাই এখন দেখার!