Durga Puja History: কৈলাসে যাওয়ার আগে তিস্তাপারে বিশ্রাম নেন উমা, জানুন মা ভান্ডানির ইতিহাস

মা ভান্ডানি দুর্গার অপর একটি রূপ বলেই লোকাচার, বাঘের পিঠে বসে থাকেন দেবী। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার মানুষের কাছে খুব জাগ্রত দেবী বলেই বিশ্বাস এই মা ভান্ডানি। বিস্তারিত পড়ুন...

Durga Puja History:  কৈলাসে যাওয়ার আগে তিস্তাপারে বিশ্রাম নেন উমা, জানুন মা ভান্ডানির ইতিহাস
তিস্তাপারে জমে উঠেছে মা ভান্ডানির পুজো (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচটা দিন। আজ একাদশী। ইতিমধ্যে কৈলাসের পথে পারি দিয়েছেন উমা। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। তবে জানেন কী কৈলাস পৌঁছনের আগে উমা বিশ্রাম নেয় তিস্তাপাড়ে (Teesta River) !  হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। মা দুর্গার তিস্তা পারে বিশ্রামের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত জানতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন।

শোনা যায়, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় ভান্ডানিতে (Maa Bhandani) একাদশী তিথিতে পুনরায় উমা পূজিত হন বনদূর্গা মা ভান্ডানি রূপে। কথিত আছে, মা দুর্গা সপরিবারে কৈলাস যাত্রার সময় এই স্থানে বিশ্রামের জন্য থেমে ছিলেন। সেই থেকে প্রায় পাঁচশ বছর ধরে দশমীর পরের দিন গ্রামের মন্দিরে দুহাত বিশিষ্ঠ উমার আরেক রূপ মা ভান্ডানি কেউ বা বলে বন দুর্গার পুজো দিয়ে আসছেন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলার জনপদের একটি বড় অংশ।

মা ভান্ডানি দুর্গার অপর একটি রূপ বলেই লোকাচার, বাঘের পিঠে বসে থাকেন দেবী। কোচবিহার (Coochbehar) ও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri News) জেলার মানুষের কাছে খুব জাগ্রত দেবী বলেই বিশ্বাস এই মা ভান্ডানি। বুধবার সকাল থেকেই তিস্তা পাড়ের বার্নিশ গ্রামমুখো কাতারে কাতারে ভক্ত, দর্শণার্থী। প্রাচীন প্রথা মেনে মা ভান্ডানিকে উৎসর্গ করা হয় ছাগ সহ কবুতর। উমার বিদায়ের দুঃখ যেন অনেকটাই চাপা পরে যায় এই বন দুর্গা বা মা ভান্ডানির পুজোকে ঘিরে নতুন করে সৃষ্টি হওয়া উৎসবের আমেজে। 

প্রসঙ্গত, আজ একাদশী। একাদশীতেও শহর কলকাতা থেকে মফস্বল বিভিন্ন জেলার ঘাটে-ঘাটে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। আজও চলছে উমা বিদায়ের প্রস্তুতি। এ বছরের মত সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন মা বোনেরা। শেষবেলায় উৎসবের জৌলুস সম্পূর্ণ নিংড়ে নিতে ব্যস্ত সবাই।