৭০ টাকায় দুয়ারে মিলছে চিকেন-মটন বিরিয়ানি, জানেন কোথায়?

রসনার তৃপ্তি করতে আমজনতাও হামলে পড়ছেন ৭০ টাকার বিরিয়ানির স্বাদ নিতে। তাও আবার চিকেন-মটন দুই রকমের বিরিয়ানি পাওয়া যাচ্ছে এক দামে

৭০ টাকায় দুয়ারে মিলছে চিকেন-মটন বিরিয়ানি, জানেন কোথায়?

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: 'বিরিয়ানি' চার অক্ষরের এই খাবারের নাম শুনলে জিভে জল আসে না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। তবে ভোজনরসিক মানুষের খাদ্যভিলাষের টপ লিস্টে সবসময় 'বিরিয়ানি' বিরাজমান। লাল কাপড়ে মোড়া বড় হাঁড়িতে তৈরি দম বিরিয়ানি খেতে কেনা পছন্দ করেন। যদিও বিরিয়ানি খেতে এবার থেকে যেতে হবে না খুব একটা দূরে। এমনকি খুব বেশি গাঁটের কড়ি খরচও করতে হবে না। মাত্র ৭০ টাকাতেই মিলছে আপনার 'দুয়ারে বিরিয়ানি'। সৌজন্যে এক যুবকের অভিনব বুদ্ধি। 

বড় বড় রেস্তরাঁ বা হোটেল নয়। সাইকেলের পিছনে বিরিয়ানির হাড়ি বেঁধে শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চলছে দেদার বিক্রি। রসনার তৃপ্তি করতে আমজনতাও হামলে পড়ছেন ৭০ টাকার বিরিয়ানির স্বাদ নিতে। তাও আবার চিকেন-মটন দুই রকমের বিরিয়ানিই পাওয়া যাচ্ছে এক দামে। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাচ্ছে এমন বিরিয়ানি? মালদহ শহরের অলিতে-গলিতে মিলছে এই বিরিয়ানি। এর জন্য ক্রেতাদের তেমন একটা কষ্ট করতে হবে না। মাত্র একটা ফোন করলেই সরাসরি সংশ্লিষ্ট ক্রেতার বাড়ির দুয়ারে হাজির হবেন বিরিয়ানি বিক্রেতা। তাহলে এবার আসুন জেনে নিই কে এই বিরিয়ানি বিক্রেতা?  

মালদহ জেলার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডকপুকুর জগন্নাথ কলোনির বাসিন্দা ওইশ বসাক। তাঁর বাবা বাবা রাজু বসাক পেশায় আচার বিক্রেতা। বাবার থেকেই ব্যবসায়িক বুদ্ধি পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন আচার ব্যবসায় বাবাকে সাহায্যও করেছেন ওইশ। মাত্র ৭০ টাকায় বিরিয়ানি বিক্রি করায় ৭ দিনেই ভাইরাল দুয়ারে বিরিয়ানির বিক্রেতা ওইশ বসাক। এখন অবস্থা এমন যে, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আর বিরিয়ানি বিক্রির প্রয়োজন পড়ছে না। ফোনে অর্ডার নিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে ওইশকে। ফোনে অর্ডার নিয়েই তারপর গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন বিরিয়ানির প্যাকেট।

জানা গিয়েছে, মালদহ শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডকপুকুর জগন্নাথ কলোনির বাসিন্দা ওইশ বসাক। বাবা রাজু বসাক পেশায় আচার বিক্রেতা। দীর্ঘদিন বাবার সঙ্গে আচার বিক্রি করেছে সে। তবে নিজেরও কিছু করার ইচ্ছা ছিল। যদিও বাবার বুদ্ধি কাজে লাগিয়েই বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করেন ওইশ। সাইকেলে ঘুরে ঘুরে বিরিয়ানি বিক্রির বুদ্ধি বাবা রাজু বসাকের। বাড়ির বাবা- মার সঙ্গে ওইশ বিরিয়ানির তৈরি করে। তারপর সেই বিরিয়ানি নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন। ফোন করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসে। এরপর সেই সব জায়গাতে গিয়ে বিরিয়ানি পৌঁছে দিচ্ছে সে।