'শিব' ব্রাহ্মণ নয় 'তফসিলি', JNU-এর ভাইস চ্যান্সেলরের মন্তব্যে চর্চা তুঙ্গে

জাতিগত বৈষম্য বিরোধী কথা বললেও এখনও পৃথিবীর কোনও না কোনও অংশে জাতিগত বৈষম্য শিকার সহ হীণমন্যতায় ভোগেন অনেকেই।

'শিব' ব্রাহ্মণ নয় 'তফসিলি', JNU-এর ভাইস চ্যান্সেলরের মন্তব্যে চর্চা তুঙ্গে

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জাতিগত বৈষম্য বিরোধী কথা বললেও এখনও পৃথিবীর কোনও না কোনও অংশে জাতিগত বৈষম্য শিকার সহ হীণমন্যতায় ভোগেন অনেকেই। সম্প্রতি রাজস্থানের এক দলিত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সেই প্রসঙ্গ আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা যে পুরোপুরি বৈষম্যের বিরোধী সেকথা হলফ করে বলা মুশকিল। 

এবার জাতিগত বৈষম্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে 'কালীর' পর 'শিবকে' নিয়ে টানাটানিতে জড়িয়ে পড়লেন জওহরলাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর শান্তিশ্রী ধুপড়ি। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,''নৃত্বত্তবিদ্যায় কোনও দেবদেবীই ব্রাহ্মণ নয়। এমনকি শিব ঠাকুরও তফসিলি জাতি বা আদিবাসী হতে পারেন''। 

তিনি আরও বলেন, ''আমার মনে হয়, শিব আদিবাসী বা তফসিলি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। না হলে তিনি এরকম পোশাক পরে, গায়ে ছাইভস্ম মেখে বনে জঙ্গলে, শশ্মানে ঘুরে বেড়াতে পারতেন! শিব যদি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের হত তাহলে তিনি কখনওই গলায় সাপ জড়িয়ে শশ্মানে বাস করতেন না। কখনও শুনেছেন ব্রাহ্মণরা শশ্মানে গিয়ে শুয়ে রয়েছে।'' 

ডক্টর বি.আর আম্বেদকরের 'থটস অন জেন্ডার জাস্টিস': ডিকোডিং দ্য ইউনিফর্ম সিভিল কোড' শিরোনামের ডক্টর বিআর আম্বেদকর লেকচার সিরিজের উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছিলেন যে, "মনুস্মৃতিতে মহিলাদের দেওয়া শূদ্রদের মর্যাদা" এটিকে অসাধারণভাবে রিগ্রেসিভ করে তোলে। আমি সকল নারীকে বলি যে মনুস্মৃতি অনুসারে সকল নারীই শূদ্র তাই কোনও নারী নিজেকে ব্রাহ্মণ বা অন্য কিছু দাবি করতে পারে না। এবং শুধুমাত্র বিয়ের মাধ্যমেই আপনি স্বামী বা পিতার জাত পেতে পারেন। আমি মনে করি এটি এমন কিছু যা অসাধারণভাবে পশ্চাদপসরণকারী।'' 

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্মী, শক্তি বা এমনকি জগন্নাথ সহ "নৃতাত্ত্বিকভাবে" দেবতারা উচ্চ বর্ণ থেকে আসে না। প্রকৃতপক্ষে, তিনি বলেন, জগন্নাথের আদিবাসী উৎস রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা বাবাসাহেবের চিন্তাধারা পুনর্বিবেচনা করছি এবং পুনর্বিন্যাস করছি। আমাদের আধুনিক ভারতের এমন কোনও নেতা নেই যিনি এত মহান চিন্তাবিদ ছিলেন। 

''হিন্দুধর্ম কোন ধর্ম নয়, এটি একটি জীবন পদ্ধতি এবং যদি এটি জীবনযাপনের পদ্ধতি হয়, তাহলে আমরা সমালোচনা করতে ভয় পাচ্ছি কেন? আমাদের সমাজে এম্বেড এবং কাঠামোগত বৈষম্যের প্রতি আমাদের জাগিয়ে তোলার জন্য গৌতম বুদ্ধই প্রথম একজন।"