কার অবহেলায় নিভল স্বপ্নের 'দীপ', যাদবপুরকাণ্ডে স্ক্যানারে ডিন অফ স্টুডেন্টস

রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া এই ঘটনা নিয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টস লালবাজারে গিয়ে যেটা দাবি করেছেন তা হল, তিনি ফোন পেয়ে সুপারকে ফোন করেন পুরো বিষয়টি দেখার জন্য।

কার অবহেলায় নিভল স্বপ্নের 'দীপ', যাদবপুরকাণ্ডে স্ক্যানারে ডিন অফ স্টুডেন্টস
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: যাদবপুরে স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা নাকি রহস্যমৃত্যু? তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। তবে নৃশংস এই ঘটনায় এবার পুলিশের স্ক্যানারে খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং হোস্টেল সুপার। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বপ্নদীপ হত্যাকাণ্ডে ঠিক কী ব্যবস্থা নিয়েছিল ডিন অফ স্টুডেন্টস তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশি নজরে ডিন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্ন, কর্তৃপক্ষ কি করছিল? কর্তৃপক্ষ কি যথা সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছিল? পুলিশ দাবি করেছে যে, কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়নি এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে উঠে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, গত ৯ অগাস্ট আগে ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে ফোন যায়। তারপরে চিঠি লেখানো হয়। গত ৯ অগাস্ট রাত ১০:০৫ নাগাদ ফোন যায় ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে। সেই ফোন করেছিল সদ্য ধৃত সত্যব্রত রায়। যাকে শুক্রবার (18 July) গ্রেফতার করা হয়েছে। সত্যব্রত রায় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ফোন করে বলেন,  ''যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর মেইন হোস্টেলে এক ছাত্রকে বলা হয়েছে, হোস্টেলে থাকতে গেলে ঝাঁপ মারতে হয়।'' 

এদিকে রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া এই ঘটনা নিয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টস লালবাজারে গিয়ে যেটা দাবি করেছেন তা হল, তিনি ফোন পেয়ে সুপারকে ফোন করেন পুরো বিষয়টি দেখার জন্য। এবং তার কাছে যে নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল ট্রুকলার নাম দেখে তার নামও জানান সুপারকে। আরও জানা গিয়েছে, ডিন অফ স্টুডেন্টস হোস্টেল সুপারকে পুরো বিষয়টা দেখতে বললেও তিনি এই ব্যাপারটা কিছু দেখেননি, তেমনটাই পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। হোস্টেল সুপার যদি পুরো বিষয়টা দেখত তাহলে সেদিন অন্তত পড়ুয়ার প্রাণ বাঁচত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

এই বিষয়ে হোস্টেল সুপার পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, ডিন অফ স্টুডেন্টসের ফোন পেয়ে সুপার তিনতলা এবং চার তলায় যাননি। যেখানে মৃত পড়ুয়ার উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছিল। তিনি একতলা যান এদিক-ওদিক ঘুরে নিজের রুমে চলে যান। এমনকি পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুপার সত্যব্রতকে ফোনও করেননি। এই বিষয়ে সুপার পুkলিশকে জানিয়েছেন, সুপারকে দেখলেই সত্যব্রত গালিগালাজ করত। সেই ভয়ে তিনি ফোন করেননি। পুলিশ সূত্রে সেই দিন রাতে ১০৪ নম্বর রুমে পড়ুয়ার ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল। সেখানে একবারও যাননি সুপার। আর এখানেই কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।