BJP NEWS: অবৈধ কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ খুনে বড় সাফল্য, গ্রেফতার আরও ২

বুধবার অভিযুক্তদের বর্ধমান সিজিএম আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সিটের তরফ থেকে ধৃতদের শনাক্তকরণের জন্য টিআই প্যারেডের আবেদন জানায়।

BJP NEWS: অবৈধ কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ খুনে বড় সাফল্য,  গ্রেফতার আরও ২
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ খুনে বড়সড় সাফল্য পেল বিশেষ তদন্তকারী দল। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম মুকেশ কুমার ও পবন কুমার। বিহারের বৈশালি জেলার মথুরাচকে মুকেশের বাড়ি। পবনের বাড়ি বৈশালি জেলারই জুলুয়ারপুর গোবর্ধনপুরে। সোমবার বৈশালি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

 সূত্রের খবর, মুকেশ আবগারি সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ৭ এপ্রিল গ্রেফতার হয়ে বৈশালীর জেলে ছিল। এই খবর হাতে আসার পর সিটের তদন্তকারী আবেদন করেন যাতে বৈশালীর জেলে গিয়েই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাবাদ করতে পারেন। সেই আবেদন বর্ধমানের সিজিএম আদালত মঞ্জুর করেন। মুকেশ ও পবন খুনে জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে বলে সিটের দাবি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সিট সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রেফতারের দিনই ধৃতদের বৈশালী হাজিপুর সিজিএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃত দু'জনকে বর্ধমানে আনার কথা জানিয়ে ২ দিনের ট্রানজিট রিমাণ্ডের আবেদন জানায় সিট। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বৈশালী হাজিপুর আদালতের সিজিএম। ধৃতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর বুধবার অভিযুক্তদের বর্ধমান সিজিএম আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সিটের তরফ থেকে ধৃতদের শনাক্তকরণের জন্য টিআই প্যারেডের আবেদন জানায়। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আগামী ১ জুলাই বর্ধমান সংশোধনাগারে চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে টিআই প্যারেড হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মুকেশের একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে সিট। 
সিট সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজু ঝাঁ খুনে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। খুনের ঘটনার পর থেকে এই পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করল সিট। এদিকে, সিবিআই আদালতে রাজু খুনের সঙ্গে গরু ও কয়লা পাচারের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে। এর প্রেক্ষিতে আগামী ৩০ জুন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হলফনামা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।  

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড় থানার আমড়া এলাকায় ল্যাংচা হাবের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রাজু। তিন দুষ্কৃতী তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে। দুষ্কৃতীরা অপারেশন সেরে তাঁদের ব্যবহার করা নীল গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, শক্তিগড় থেকে মালম্বা হয়ে কাটোয়া থানার জাজিগ্রামে পৌঁছয় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে বীরভূম হয়ে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়ার দিকে চলে যায় তারা। তদন্তে নেমে সিট মোবাইল কল ডাম্পিং ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে বেশকিছু তথ্য পায়। সেই সবের সূত্র ধরে গত ১৮ এপ্রিল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করে সিট। পরে আরও দু’জন গ্রেফতার হয়। সিট সূত্রে দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।