শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অধিকার নেই রাজ্যের, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে মমতার মন্তব্যে সাফ জবাব কেন্দ্রের

কেউ যদি বাংলার দরজায় আশ্রয় চেয়ে কড়া নাড়ে তাহলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার বার্তাও দেন তৃণমূল নেত্রী। এই রকম একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্তব্যে ছড়িয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর। পড়ুন বিস্তারিত...

শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অধিকার নেই রাজ্যের,  অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে মমতার মন্তব্যে সাফ জবাব কেন্দ্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সংরক্ষণ ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। পড়শি দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও কাউকে কোনও প্ররোচণায় ও উত্তেজনায় পা না দিয়ে একুশের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু অন্য দেশের বিষয় তাই এ ব্যাপারে তিনি বা তার দল নয়, কেন্দ্রই কথা বলবে বলে মন্তব্য তৃণমূল নেত্রীর। গোটা পরিস্থিতির উপর তিনি নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে কেউ যদি বাংলার দরজায় আশ্রয় চেয়ে কড়া নাড়ে তাহলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার বার্তাও দেন তৃণমূল নেত্রী। এই রকম একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্তব্যে ছড়িয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর।    

 রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওপার বাংলার   শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন,''অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়লে, সাহায্য করব।'' তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে।   

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/WB-governor-CV-Ananda-Bose-seeks-report-on-tunnel-at-saddams-bedroom

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ সাফ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এই অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অধিকারের এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি সিএএ প্রসঙ্গ টেনে তিনি পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান। বলেন, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, উনি বাংলার দরজা খোলা থাকবে।

আরও পড়ুন:  https://tribetv.in/WB-CM-Mamata-Banerjee-targets-tmc-workers-over-their-works-report

ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে যে অশান্তি থামাতে শুক্রবার রাত থেকে গোটা দেশে কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। সংরক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর এখনও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। রাস্তায় নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। মুহুর্মুহ বোমা-গুলির শব্দে একেবারে থমথমে পদ্মাপার। তবে এখন দেখার কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে কতদিনে শান্ত হয় ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ।