শিক্ষায় বাণিজ্যকরণ, নয়া দায়িত্ব নিয়ে বেসরকারিকরণ নিয়ে মুখ খুললেন সুরঞ্জন দাস

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েই তিনি বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গে শত সমস্যা থাকলেও যা মেধা আছে, তা কাজে লাগানো গেলে ভারতের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে শীর্ষে যাওয়া যাবে।'' শুধু তাই নয়, গত কয়েক দশকে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষায় বাণিজ্যকরণ,  নয়া দায়িত্ব নিয়ে বেসরকারিকরণ নিয়ে মুখ খুললেন সুরঞ্জন দাস
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গত বুধবার (31.05.23) শেষ হয়ে গিয়েছে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ। বৃহস্পতিবার থেকে Adamas University-এর নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার তুলে নিয়েছেন তিনি। বুধবার একটি অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সমিত রায় উপাচার্য হিসেবে ঘোষণা করলেন সুরঞ্জন দাসের নাম। জানা গিয়েছে, বিশিষ্ট অধ্যাপক হিসেবে সুরঞ্জন দাস এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলেছেন সুনামের সঙ্গে। 

বৃহস্পতিবার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েই তিনি বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গে শত সমস্যা থাকলেও যা মেধা আছে, তা কাজে লাগানো গেলে ভারতের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে শীর্ষে যাওয়া যাবে।'' শুধু তাই নয়, গত কয়েক দশকে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, 'সরকারি বিশ্ববিদযালয়ের কাজ করেছি। একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রয়েছি। ৭৮ সাল থেকে উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত। সত্তরের, আশির, নব্বই, দুহাজারের দশকে সারা বিশ্বে উচ্চশিক্ষার চিত্র বদলে গিয়েছে। বিশ্বায়ন এসেছে। পুরনো পদ্ধতিতে  অনুদান ভিত্তিক যে শিক্ষাব্যবস্থা চলত তা বদলে গিয়েছে। এখন বেসরকারি উদ্যোগ এসেছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। বেসরকারি ক্ষেত্রের অবদান রয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায়।' 

অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পরই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মুখে শোনা গেল শিক্ষায় বেসরকারি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকরণের কথা। তিনি বলেন, 'যদি ট্রান্সপোর্ট, হেলথ, হাউজিংয়ে বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অন্যত্র এই উদ্যোগ মেনে নিয়ে চলি, তাহলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও তা করতে হবে। এখনও যে কটা সমাজতান্ত্রিক দেশ রয়েছে সেখানে বেসরকারি উদ্যোগ রয়েছে। তবে বেসরকারি উদ্যোগ যাতে বাণিজ্যিকরণে পরিণত না হয়। আমি যেভাবে দেখি তাতে বেসরকারি উদ্যোগ ও বাণিজ্যিকরণে একটা মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।'' 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুন মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল সরকার। সেই সময় ২ বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল তাঁর। এদিকে এই মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়েও সেই সময় রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা কারণে বার বারই খবরের শিরোনামে এসেছিলেন সুরঞ্জন দাস। বিগতদিনে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এসেছিলেন। সেখানে তাঁকে ঘেরাও করা হয়েছিল। এরপর রাজ্যপাল সেখানে চলে যান। এনিয়ে তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার পর রাজ্যপাল উপাচার্যকে ডেকে পাঠান। কিন্তু সুরঞ্জন যাননি বলে খবর। এদিকে ২০২১ সালে রাজ্যপালের দফতর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও সবুজ সংকেত না আসায় রাজ্য নিজ দায়িত্বেই তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল।